মেয়রের সঙ্গে আলোচনার পর আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার ঠিকাদার সংগঠনের সদস্যরা। সোমবার মেয়রের সঙ্গে আলোচনার পর তারা ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পুরসভার এই আর্থিক টানাপোড়েনে নিজেদের বেতন থেকে বকেয়া পাওনা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন পুরসভার কর্মী থেকে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন সকলেই। বকেয়া পাওনার দাবিতে ১০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন ঠিকাদার সংগঠনের সদস্যরা। মেয়রের সঙ্গে আলোচনার পর এ দিন সংগঠনের মুখপাত্র বিজন দাস বলেন, “আমরা তিনটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু অবস্থান থেকে সরে এলেও আমরা এই সময় কোনও টেন্ডারে অংশ নেব না। কোনও কাজও করব না।” ১৩ সেপ্টেম্বর ফের তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানান মেয়র। তার মধ্যে সমস্যা না মিটলে তারা ফের আন্দোলনের রাস্তায় যেতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এই দিনই মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন ‘হায়ার ট্রাক কনট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যরা। পুরসভায় আর্থিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। গাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য তাদেরও বকেয়া পাওয়া রয়েছে পুরসভার কাছে। নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েই তারা এ দিন মেয়রের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত তাদের পাওয়া মেটানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই অবস্থা চলতে থাকলে দু’একদিনের মধ্যে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সুবল ভৌমিক বলেন, “আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধাম্ত জানাব।” পুরসভায় জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের জন্য ভাড়ার গাড়ি চলে ৩৭ টি। তা ছাড়াও পূর্ত এবং কয়েকটি বিভাগের কাজের জন্য ট্রাক-সহ ছোট গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়। সে সব ভাড়া গাড়ির মালিকদের পাওনা বকেয়া রয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। মেয়র জানান, গাড়ি ভাড়ার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
|