|
|
|
|
জোটে বোর্ড গড়ল মোর্চা ও তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাদারিহাট |
পাহাড়ে দুই দলের ‘দূরত্ব’ বাড়লেও, ঠিক উল্টো ছবি ডুয়ার্সে। মাদরিহাট-বীরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করল গোর্খা জনমুক্ত মোর্চা। সোমবার দুপুরে ওই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল তৃণমূল-মোর্চা আর তাদের সহযোগী দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।
মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লক বামেদের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। পঞ্চায়েত সমিতির ২৬টি আসনের মধ্যে বামেরা ১২টি আসনে জয়ী হয়। বাকি আসনগুলির মধ্যে তৃণমূল ৫টি, মোর্চা ৭ এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২টি আসনে জেতে। এদিন বাম বিরোধী ১৪ জন সদস্য সভাপতি পদে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সনু ঘিসিংকে ভোট দেন। সহ সভাপতি হিসাবে তৃণমূলের তগদির বিশ্বকর্মা নির্বাচিত হন। মাদারিহাটের বিডিও পেম্বা শেরপা বলেন, “কর্মাধ্যক্ষ কারা হবেন তা পরবর্তীতে ঠিক করা হবে। এ দিন দুটি পদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে।”
মোর্চা তৃণমূলকে সমর্থন করে বোর্ড গঠন করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা শুরু হয়ে যায়। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের কোনও নীতি নেই। ক্ষমতা দখলই তাদের মূল লক্ষ্য। মোর্চা বিরুদ্ধ লড়াই করে মোর্চার হাত ধরে বোর্ড গঠন করল। এটা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।” আরএসপি-র মাদরিহাট-বীরপাড়া ব্লকের জোনাল সম্পাদক গোপাল প্রধান বলেন, “তৃণমূল পাহাড়ে এক কথা বলছে আর সমতলে মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কী করছে তা এদিন স্পষ্ট হল।” তৃণমূল, মোর্চা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতারা অবশ্য বিরোধী বামেদের কথায় আমল দিতে নারাজ। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি জোয়াকিম বাক্সলা বলেন, “সকলে উন্নয়ন চায়। তাই বাম বিরোধী বোর্ড গঠনে সকলে রায় দিয়েছে।” মোর্চার বীরপাড়া জোনাল সম্পাদক দীনেশ কামির কথায়, “বাম আমলে উন্নয়ন হয়নি। এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে তাই এক হয়েছি। বাম বিরোধী বোর্ডকে সমর্থন করা হয়েছে। তৃণমূলকে সমর্থন করায় পাহাড়ের নেতারা আপত্তি করেননি।” ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা জন বার্লার কথায়, “সবাই উন্নয়নের কাজ করব। আমরা আলাদা রাজ্যের দাবি সমর্থন করেছি ঠিকই, তবে ডুয়ার্সের জন্য স্বশাসিত পর্ষদের জন্য আমরাও আন্দোলন করছি।” |
|
|
|
|
|