|
|
|
|
ব্যবসায়ীকে অপহরণের
চেষ্টা করে গ্রেফতার ৩ ফালাকাটায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
গোয়েন্দা দফতরের অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে ধরেছে পুলিশ। রবিবার ফালাকাটা থানার জটেশ্বরের। পুলিশ জানিয়েছে, এক চাল ব্যবসায়ীর দোকানে নিয়ে ‘আইপিএল জুয়ায়’ জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারের হুমকি দেন এক যুবক। এর পরে গাড়িতে চাপিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে জোর করে দোকান থেকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে, ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। সে সময়ে ব্যবসায়ীর পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পড়শিদের ও গ্রামীণ পুলিশের কর্মীদের খবর দেন। সকলের জেরার মুখে অভিযুক্ত ব্যক্তি মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এর পরেই তাকে এবং গাড়ির চালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জটেশ্বর থেকে আরও এক ব্যক্তিকে ধরেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা, অপহরণের চেষ্টা, সরকারি অফিসারের মিথ্যে পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ধৃতদের গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। ফালাকাটা থানার আইসি ধ্রুব প্রধান বলেন, “ধৃতদের বাড়ি শিলিগুড়িতে। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ধৃতদের এক জনের পুরোনো গোলমাল ছিল। সে কারণেই গোয়েন্দা অফিসার সেজে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।” পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় একটি গাড়ি নিয়ে গিয়ে জটেশ্বরের চাল ব্যবসায়ী সুদীপ করের দোকানে যান নিউ জলপাইগুড়ির বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী পল্লব আচার্য। তিনি নিজেকে গোয়েন্দা দফতরের অফিসার এবং গাড়ির চালককে ওই বিভাগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন বলে অভিযোগ। সুদীপবাবুর জবানবন্দি ভিডিও বন্দি করেন অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত পল্লব আচার্য পুলিশকে জানান, জটেশ্বরের বাসিন্দা অর্ণব চক্রবর্তীর নিদের্শেই পরিকল্পনা হয়। এর পরে অর্ণবকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায় একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার ইঞ্জিনিয়র। বর্তমানে শিলিগুড়িতে থাকলেও অর্ণব জটেশ্বরেরই বাসিন্দা। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অর্ণবের সঙ্গে জটেশ্বরের ব্যবসায়ী সুদীপ করের আইপিএল কেন্দ্র করে টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই কারণেই অর্ণবের সঙ্গে সুদীপবাবুর শত্রুতা তৈরি হয় এবং তার জেরে অর্ণব পরিকল্পনার ছক কষে বলে পুলিশ মনে করছে। চাল ব্যবসায়ী সুদীপবাবু আইপিএল-এর বিষয়ে লেনদেনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কিছু দিন আগে অর্ণব আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা ঋণ চায়। আমার কাছে ওই টাকা নেই বলার পর, আমাকে হুমকি দিতে শুরু করে।” ধৃত অর্ণব চক্রবর্তীর শ্বশুরমশাই জটেশ্বরের অনিল সরকার বলেন, “অর্ণবকে ফাঁসানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|