কামদুনির ধর্ষণ-খুনে চার্জ গঠন হবে ১০ই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বারাসতের কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে এক মাসের মধ্যে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার তিন মাস পরে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সবে ওই মামলার চার্জ গঠন হতে চলেছে। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার বিচার ভবনের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (বেঞ্চ-২) সঞ্চিতা সরকার।
কলকাতা হাইকোর্ট এক মাস আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, বারাসতের কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাত দিনের মধ্যে চার্জ গঠন করতে হবে। কিন্তু তা না-হওয়ায় ইতিমধ্যেই বিচার ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কামদুনিবাসী। সরকারি আইনজীবী দীপক ঘোষ ও অনিন্দ্য রাউত জানান, এই মামলায় অভিযুক্ত আট জনের বিরুদ্ধে বিচারকের কাছে আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো হবে ১০ তারিখে।
গত ৭ জুন কামদুনির কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ধর্ষণ, খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সইফুল আলি মোল্লা, আমিন আলি, নুর আলি, আনসার আলি, এনামুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, ভোলা নস্কর ও গোপালনাথ নস্কর নামে আট জনকে গ্রেফতার করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ এবং সিআইডি-র গোয়েন্দারা। অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ রফিক ধরা পড়েনি। নির্যাতিত ও নিহত ছাত্রীর পরিবারের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, শুনানিতে তাঁকে সক্রিয় ভাবে যোগ দিতে দেওয়া হোক। অভিযুক্তদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও সঞ্জীব দাঁ সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন। এ দিন বিচারক নির্দেশ দেন, শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন নির্যাতিত ও নিহত ছাত্রীর পরিবারের আইনজীবী কোনও রকম সওয়াল করতে পারবেন না। ওই আইনজীবীর কোনও বক্তব্য থাকলে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বের শেষে তিনি লিখিত ভাবে তা জানাতে পারবেন।
ওই কলেজছাত্রীর ছাত্রীর মা, দাদা এবং পড়শি দুই যুবক এ দিন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে হাজির হন। পরিবারের পক্ষ থেকে কমিশনে অভিযোগ করা হয়, ওই ঘটনার পরে তিন মাস কেটে গিয়েছে। এখনও সুবিচার তো মেলেইনি। রাজ্য সরকার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও কামদুনির রাস্তাঘাট মেরামত করা হয়নি। ওই এলাকার রাস্তায় আলোও জ্বলে না। তৈরি হয়নি নতুন স্কুল। পুলিশ ফাঁড়ি বসেনি। যানবাহনের সুব্যবস্থাও হয়নি। অথচ ঘটনার পরে কামদুনি যখন পথে নেমেছিল, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার এই সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। |