প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবকদের আপত্তি |
সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
স্কুলের অভিভাবক ও প্রাক্তন ছাত্রদের আপত্তিতে স্থগিত হয়ে গেল সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ হাইস্কুলে। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের মদতেই অভিভাবক এবং প্রাক্তন ছাত্ররা ওই আপত্তি জানিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের তরফে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হওয়ার কথা ছিল। ওই পদের জন্য ৯ জন আবেদন করেছিলেন। তবে এ দিন হাজির হয়েছিলেন ৮ জন। পরীক্ষা শুরুর আগে জনা পঁচিশ প্রাক্তন ছাত্র এবং বেশ কিছু অভিভাবক স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক দিলীপ ঘোষের কাছে স্মারকলিপি দেন। তাঁরা আবেদন করেন, আগে স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হোক। তার পরে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হোক। অভিভাবক এবং প্রাক্তন ছাত্রদের দাবি গত ২৯ অগস্টও প্রধান শিক্ষকের কাছে তাঁরা একই দাবি জানিয়েছিলেন। প্রধান শিক্ষক দিলীপ ঘোষ বলেন, “কিছু অভিভাবক ও প্রাক্তন ছাত্রদের আপত্তির প্রেক্ষিতে ইন্টারভিউ স্থগিত রাখা হয়েছে। ওঁদের দাবি জানিয়েছেন, পরিচালন সমিতির নির্বাচনের পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে। তা না হলে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন।” তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিচালন সমিতির মেয়াদ রয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরিচালন সমিতির বৈঠকে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ দিন যাঁরা স্কুলে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন তাঁদের কেউ কংগ্রেস, কেউ তৃণমূল সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্মারকলিপি দিতে আসা আবেদনকারীদের মধ্যে প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “স্কুলের পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত মার্চ মাসে। তার পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমাদের যে কারও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয় থাকতেই পারে। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে গিয়েই আবেদন জানিয়েছি।”
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “স্কুলে কারা গিয়েছিলেন তা আমাদের জানা নেই। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এ ধরনের কোনও কাজের সঙ্গে আমরা জড়িত নই।” |