|
|
|
|
সোহরাবুদ্দিন মামলায় জাভড়েকরের নাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ হত্যা মামলায় নাম জড়িয়ে গেল বিজেপি সাংসদ প্রকাশ জাভড়েকরের।
আজ সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অভিযোগকারীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রকাশ জাভড়েকর, রাজ্যসভায় বিজেপিরই আরেক সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব ও সংঘ পরিবারের নেতা রামলালের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ অমিত শাহকে বাঁচানোর জন্য ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যেখানে অভিযুক্তেরা সোহরাবুদ্দিন মামলায় অন্যতম প্রতক্ষ্যদর্শী তথা পুলিশি সংঘর্ষে মৃত তুলসি প্রজাপতির মা-কে ভুল তথ্য দিয়ে ছ’টি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিলেন। আবেদনকারী আইনজীবী কামিনী জয়সওয়াল নিজের অভিযোগে আজ আশঙ্কা জানিয়েছেন, ওই ওকালতনামার সাহায্যে ভবিষ্যতে মামলা দুর্বল করার চেষ্টা করতে পারেন জাভড়েকররা। যদিও রাত পর্যন্ত গোটা অভিযোগটি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জাভড়েকর-সহ অন্য বিজেপি নেতারা। কংগ্রেস শিবির বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অমিত শাহ দোষী প্রমাণিত হলে সমস্যায় পড়বেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তাই মোদীকে বাঁচাতেই ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। শুধু অমিত শাহ নয় গোটা পরিকল্পনাটি জানতেন নরেন্দ্র মোদীও।
আজ সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীর পক্ষ থেকে ওই মামলার স্বপক্ষে একটি স্টিং অপারেশনের সিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। ওই সিডিও দেখা গিয়েছে, অমিত শাহের বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষ মামলা দুর্বল করতে গত বছরের আগস্ট মাসে সক্রিয় হন জাভড়েকর-ভূপেন্দ্ররা। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে এক সাংবাদিকের সাহায্যে তুলসি প্রজাপতির মা নর্মদা প্রজাপতিকে দিয়ে গুজরাত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট-সহ মোট ছ’টি আদালতের ফাঁকা ওকালতনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। পরে অবশ্য জাভড়েকর ঘনিষ্ঠ ওই সাংবাদিকই স্টিং অপারেশনটি করেন। যার সিডি আজ সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হয়েছে।
অভিযোগকারী কামিনী জয়সওয়ালের বক্তব্য, সে সময় তুলসির মা’কে বোঝানো হয়, গুজরাত সরকার নর্মদাকে সরকারি সাহায্য দিতে চায় তাই তাঁর সম্মতি প্রয়োজন। নর্মদাদেবী বিনা দ্বিধায় ওই ছ’টি ফাঁকা ওকালতনামায় স্বাক্ষর করে দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্তভূষণের আশঙ্কা, “অভিযোগকারীর ওকালতনামা অভিযুক্ত পক্ষের হাতে চলে আসায় প্রয়োজনে নর্মদার আইনজীবী পর্যন্ত পরিবর্তন করতে পারবেন অমিত শাহরা।” ওই ওকালতমানার সাহায্যে গোটা মামলাটিই দুর্বল করে
দেওয়াই লক্ষ্য অভিযুক্তদের বলে মনে করছেন প্রশান্তভূষণ। |
পুরনো খবর: ইশরাত খুন ঠান্ডা মাথায়, চার্জশিটে অস্বস্তিতে বিজেপি |
|
|
|
|
|