মাঠপুকুর-কাণ্ডে চার্জ গঠন
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মাঠপুকুর-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাও-সহ সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২১ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠন করবে আলিপুর আদালত। কী কী ধারায় চার্জ গঠন করা হবে তা-ও ওই দিনই ঘোষণা করবেন বিচারক। সোমবার প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অভিযুক্ত ও সরকারপক্ষে দীর্ঘ শুনানি হয়। এ দিন কাও-এর জামিন ও তাঁকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার আবেদনেরও শুনানি হয়। তবে দু’টি আবেদনই খারিজ করে দেয় আদালত। জেল হাজত থেকে শম্ভুনাথ-সহ ছয় অভিযুক্তকে বিচারক মীর রশিদ আলির এজলাসে তোলা হয়। এক অভিযুক্ত দেবাশিস সরকার জামিনে থাকায় তাঁকেও হাজির থাকতে হয়। অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলায় খুনের ধারাটি অযৌক্তিক ভাবে প্রয়োগ হওয়ায় তাঁর মক্কেল শম্ভুনাথকে দেড়শো দিনের উপর হাজতে থাকতে হয়েছে। ২০ মার্চ এক সংঘর্ষে অধীর মাইতি নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন আর এক কর্মী। আঘাতজনিত কারণে অধীরবাবুর মৃত্যুর কথা ময়না-তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়নি। জানা গিয়েছে, তিনি হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। তাই খুনের ধারা প্রযোজ্য নয়।” সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য বলেন, “অধীরবাবু যে অসুস্থ ছিলেন তা অভিযুক্তদের অজানা ছিল না। ওই অবস্থাতে তাঁকে ধাক্কা দেওয়ায় প্রাণ হারান তিনি। এ ক্ষেত্রে এটি খুন হিসেবেই গণ্য হবে তা আইনেই বলা রয়েছে।” |
অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার |
এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আপডেট করার নামে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। ধৃত সমীর কুমার বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। সোমবার তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানায়, ১০ অগস্ট কলকাতার এভারেস্ট হাউসের একটি সংস্থার কর্মী রাঘব গুপ্তর কাছে একটি ই-মেল আসে। তাতে তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট আপডেট করার তথ্য জানাতে বলা হয়। তা জানানোর কিছু দিনের মধ্যেই রাঘববাবু দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা উধাও। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জানতে পারে, দিল্লির সমীর কুমার নামে এক যুবকের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা পড়েছে। বিষয়টি জানানো হয় দিল্লির সাইবার ক্রাইম বিভাগে। সমীর দিল্লির একটি এটিএম-এ টাকা তুলতে এলে তাঁকে ধরে পুলিশ। গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “এই কায়দায় টাকা হাতানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে। যাচাই না করে নিজের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বহু বার মানুষকে সচেতন হতে বলেছি।” |
রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বছর তেইশের এক তরুণীর। সোমবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ, যোধপুর পার্ক সংলগ্ন প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। মৃতার নাম নন্দিতা মণ্ডল। পুলিশ জানায়, সোনারপুরের বাসিন্দা নন্দিতা ওই দিন একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন। যাদবপুর থানার কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে ২৩৪ রুটের একটি বেসরকারি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই একই রুটের দু’টি বাস রেষারেষি করার সময় একটির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ওই তরুণী। বাসের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। গুরুতর চোট লাগে তাঁর মাথায়। আহত তরুণীকে প্রথমে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এম আর বাঙ্গুরে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক বাসটি আটক হলেও, চালক পলাতক। অন্য বাসটি ধরা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
কলকাতার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি ভাবে নির্মিত একটি দোতলা বাড়ি সোমবার ভেঙে দিল পুরসভা। পুর-সূত্রের খবর, বেহালার ৫০ নম্বর হো চি মিন সরণির ওই বাড়িটি তৈরি করে এক প্রোমোটার সংস্থা। সংস্থার একটা বড় বিল্ডিংয়ের কাছেই সেটি নির্মাণ করা হয়। পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ডিজি (২) দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, গাড়ি রাখার জায়গায় ওই বাড়িটি গড়ে তোলা হয়। যা পুরোপুরি অবৈধ। এ নিয়ে ওই সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হলেও কাজ হয়নি। শেষে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সম্প্রতি মেয়র পরিষদের বৈঠকে বাড়িটি ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো সোমবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িটি ভেঙে দেয় পুর-প্রশাসন। |
বাংলাদেশের এক নাবালিকাকে কলকাতায় নিয়ে এসে বিক্রি করার অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার হল এক যুবক। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম আবদুল গফফর। পনেরো বছরের ওই কিশোরীকে বটতলা থানা এলাকার ডি সি মিত্র রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানেই ধরা পড়ে গফ্ফর। পুলিশ জানিয়েছে, গফফর নিজেকে ওই মেয়েটির স্বামী পরিচয় দিয়ে তাকে প্রথমে বীরভূম ও পরে বর্ধমান নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিয়ে আসে কলকাতায়। সোমবার গফফরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। |
বাড়ির দরজা ভেঙে চুরি গেল টাকা-গয়না। সোমবার, নেতাজি নগরে। বাড়ির কর্ত্রী মিঠু ঘোষালের অভিযোগ, সকালে বাড়িতে তালা দিয়ে বাজারে যান তিনি। ফিরে দেখেন, তালা ভাঙা। জিনিসপত্র লণ্ডভন্ড। আলমারি ভেঙে লুঠ হয়েছে টাকা ও সোনার গয়না। খোয়া গিয়েছে ডিভিডি, ক্যামেরা ও মোবাইল। পুলিশের অনুমান, মিঠুদেবী যে বাড়িতে তালা দিয়ে বাজারে যান তা স্থানীয় কোনও দুষ্কৃতী নজর করেই এই কাজ করেছে। |