|
|
|
|
সভাধিপতি পদে তৃণমূল সমর্থন চাইল কংগ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য এ বার প্রকাশ্যেই কংগ্রেসের কাছে সমর্থন চাইলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক অমল আচার্য। রবিবার সন্ধ্যায় করণদিঘি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই বারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমর্থন চাওয়ার কথা বলেন অমলবাবু। তিনি এ দিন বলেন, “তৃণমূল ও কংগ্রেসের বিরোধিতার কথা ভেবে বামফ্রন্ট জেলা পরিষদ দখলের স্বপ্ন দেখছে। জেলা পরিষদে আমরা বামফ্রন্টকে ঠেকাতে বদ্ধপরিকর। সেই কারণেই, আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য কংগ্রেসের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। জেলাবাসী চাইছেন বাম-বিরোধী জেলা পরিষদ গঠিত হোক।” তিনি জানান, কংগ্রেস সভাধিপতির আসনে প্রার্থী না দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতালে কংগ্রেসকে সহকারী সভাধিপতি, কিছু কর্মাধ্যক্ষের পদ ছাড়া হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়েছে। তাহলে জেলা পরিষদ গড়তে এখন কেনও কংগ্রেসের সমর্থন চাওয়া হচ্ছে? এই বিষয়ে অমলবাবুর যুক্তি, “রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। জেলা পরিষদে তৃণমূলের সভাধিপতি নির্বাচিত হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন। দলের রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শেই কংগ্রেসের কাছে সমর্থন চাইছি।” উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের ২৬ আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট ১৩টি আসন দখল করেছে। কংগ্রেস আটটি ও তৃণমূল পাঁচটি আসন পেয়েছে। তবে কংগ্রেসের তৃণমূলকে সমর্থন করলে সেখানে দু’পক্ষ ১৩টি ভোট পাওয়ার কথা। এই রকম হলে বামেদের এক জন সদস্য তাঁদের সমর্থন করবেন বলে অমলবাবু এদিন দাবি করেছেন। তবে তার নাম এখনই তিনি বলেননি।
তৃণমূল জেলা সভাপতির আহ্বান প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য পবিত্র চন্দ বলেন, “কংগ্রেস সভাধিপতি আসনে প্রার্থী দেবে, না কি তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করবে তা দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” আর জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ী বলেন, “সভাধিপতি নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। দুই দলই আমাদের কিছু সদস্যকে ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা অবশ্য সফল হবেন না।” ১১ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হওয়ার কথা রয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে কয়েকশো কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্যও রয়েছেন বলে অমলবাবুর দাবি। যদি কংগ্রেসের পবিত্রবাবু ও বিজেপির জেলা সভাপতি শুভ্র রায়চৌধুরী বলেন, “আমাদের কাছে এ রকম কেনও খবর নেই।”
|
|
|
|
|
|