|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর গোষ্ঠী পরিচয় নিয়ে শুনানি কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর গোষ্ঠী পরিচয় নিয়ে বিতর্ক গড়াল আদালতে।
মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার তফসিল উপজাতি শংসাপত্রের বৈধতা নিয়ে মেঘালয় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা টেনিডার্ড এম মারাক। ৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করল আদালত। ওই দিন আবেদনকারী এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, দু’পক্ষকে তাঁদের বক্তব্যের স্বপক্ষে নথিপত্র পেশ করতে হবে।
শুক্রবার হাইকোর্টের কার্যবাহী প্রধান বিচারপতি টি এন কে সিংহ এবং বিচারপতি এস আর সেন নির্দেশ দিয়েছেন, টেনিডার্ডকে তাঁর অভিযোগের পক্ষে সমস্ত নথি জমা দিতে হবে। তফসিল উপজাতির ‘পরিচয়পত্র’ দাখিল করতে হবে মুকুলকেও। দু’পক্ষকেই রাজ্যের উপজাতি নিয়মকানুন সংক্রান্ত বিধি এবং কেন্দ্রের তফসিল জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত নিয়মাবলী আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য সরকার, তফসিল জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, দক্ষিণ-পশ্চিম গারো হিলের জেলাশাসক, পশ্চিম গারো হিলের জেলাশাসকের কাছেও জবাবদিহি চেয়েছে আদালত। ওই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করবেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কে এস কিনজিং।
উইলিয়ামনগর কংগ্রেস কমিটির মুখ্য সাংগঠনিক সচিব টেনিডার্ড এম মারাক দাবি তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাংমা’ পদবী ব্যবহারের এক্তিয়ার নেই। কারণ, তাঁর মা অসমের নগাঁওয়ের বাঙালি পরিবারের মেয়ে। টেনিডার্ডের দাবি, মুকুলের মা এবং মুকুল গারোদের পদবী গ্রহণ করেন। মেঘালয়ে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ রয়েছে। গারোরা মায়ের গোষ্ঠীকেই প্রাধান্য দেয়। বাঙালি মায়ের সন্তান হয়ে মুকুল তা-ই গারো তথা মেঘালয়বাসীর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর নিজের গোষ্ঠীর মান্দা মাহারির প্রতিনিধিবর্গ দাবি করে, খ্রিষ্টান গারো যুবককে বিয়ে করায় মুকুলের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। বান্দালকোনা গ্রামের এক দম্পতি গারো সমাজের আচার মেনে তাঁকে নিজেদের মেয়ে হিসাবে ঘোষণা করেন। তাঁর নতুন নাম হয় মান্দা সাংমা। তিনি মাহারি উপজাতির মান্দা গোষ্ঠীভুক্ত হন। মুকুল মাহারদের মধ্যেই জন্মান, বড় হন। তাঁর উপজাতি শংসাপত্র পাওয়া অনৈতিক নয়। |
|
|
|
|
|