মধুর চাষে স্বনির্ভরতা গরুবাথানে
মৌমাছি পালন করে স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তা খুঁজছেন কালিম্পং মহকুমার গরুবাথানের একদস যুবক। বাড়ির উঠোনেই একেবারে নিজস্ব কায়দায় কোনও রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই মৌমাছি পালন শুরু করেছেন তাঁরা। তাতেই সাফল্য এসেছে। একেকটি মৌমাছির ঘর থেকে বছরে এক-দু’বার দুই থেকে তিন লিটারের মতো মধু মিলছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। লিটার প্রতি ৪০০ টাকা করে উপার্জন করছেন বাসিন্দারা। গরুবাথানের পানঢাড়া মোড় কিংবা টারবস্তি এলাকায় মৌমাছি পালনের প্রবণতা বেশি। এলাকার অধিকাংশ বাড়িতেই ২০ থেকে ৩০টি করে মৌমাছির ঘর বানিয়ে চাষ চলেছে। পানঢারার বাসিন্দা ওয়াল্টার খেড়িয়া, খাটু নায়েকরা বলেন, “বর্ষা পেরিয়ে গেলেই মধু সংগ্রহ করা শুরু হবে।” সমতল এলাকায় কাঠের বাক্স বানিয়ে ভেতরে মৌমাছি পালন করা হয়। গরুবাথানে প্রায় দেড় ফুট ব্যাসের শক্ত কাঠের গুড়ির ভেতরটা ফাঁকা করে দিয়ে দু’দিকে কাঠ লাগিয়ে বন্ধ করে দিয়েমৌমাছি পালন হচ্ছে। গুড়ির গায়ে দুটি ছোট ফুটো রাখা হয়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রথমে আশেপাশের মৌমাছির চাক থেকে রানী মৌমাছিকে খুঁজে বের করে গুড়ির ফুঁটো দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেই, অন্য মৌমাছিরা আপনা আপনি চলে আসে। এলাকার বাসিন্দা পূর্বা তামাঙ্গ বলেন, “মধু তৈরি হয়ে গেলে, পাশের কাঠ খুলে নিয়ে মধু বের করে আনতে হয়। খুব একটা দেখাশোনর প্রয়োজন হয় না।” তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেলে মুনাফা আরও বেশি হত বলে বাসিন্দারা দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে। বিডিও সুব্রত মোহন্ত বলেন, “মৌমাছি পালনকে সংগঠিত আকার দিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের মাধ্যমে আরও জনপ্রিয় এবং অর্থকরী করে তোলার বিষয়ে ব্লক প্রশাসন উদ্যোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.