ফের থুতুর ছেটানোর অভিযোগ। এবং অভিযুক্তের নাম রঞ্জন শীলশর্মা।
বছর চারেক আগে স্কুল পরিদর্শককে থুতু ছেটানোর অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সাসপেন্ড করেছিল শিলিগুড়ির ওই তৃণমূল কাউন্সিলরকে। দল থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল তাঁকে। সে বার জামিনে ছাড় পেয়েছিলেন তিনি।
এ বার তাঁর থুতুর ছিটে পড়ল খোদ শিলিগুড়ির মেয়রের উপরে। শুক্রবার রাতে পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী গঙ্গোত্রী দত্ত।
ওই ঘটনায় তৃণমূলের অন্য এক কাউন্সিলর কৃষ্ণ পালেরও মদত রয়েছে বলে মেয়রের অভিযোগ। আন্দোলনের নামে ওই দুই তৃণমূল কাউন্সিলর তাঁকে জনসমক্ষে ‘হেনস্থা, সম্মানহানি’ করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। গঙ্গোত্রীদেবীর দাবি, “ভিডিও ফুটেজ হাতে রয়েছে। সবই পুলিশকে জানিয়েছি। দেখা যাক পুলিশ কী করে?”
আর রঞ্জনবাবু বলছেন, “থুতু ছেটানোর মিথ্যে গল্প বানানো হচ্ছে। মেয়র যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি থুতু ছিটিয়েছি তা কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি থেকেই সরে যাব।”
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছেন তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পরে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”
শাসক দল অবশ্য মেয়রের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। পুরসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বক্তব্য, “মেয়র নাটক করছেন। ওঁর ভূমিকা নিয়ে যা বলার কৃষ্ণ পাল বলবেন।” পরে কৃষ্ণবাবু বলেন, “পুরসভায় ক্লোজড সার্কিট টিভি বসানো রয়েছে। আমরা কী করেছি তা নিশ্চয় ধরা পড়েছে। আমাদের আচরণে কোনও অভব্যতা প্রমাণ পেলে নিশ্চয় ক্ষমা চেয়ে নেব।”
২০০৯-এর ৬ সেপ্টেম্বর ডেপুটেশন দিতে গিয়ে রঞ্জনবাবু শিলিগুড়ির তৎকালীন প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের মুখে থুতু ছিটিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগও দায়ের করা হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন রঞ্জনবাবু। গ্রেফতার এড়াতে সেই সময়ে বেশ কিছু দিনের জন্য এলাকা ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন তিনি। পরে জামিন মঞ্জুর হলেও সে মামলা এখনও চলছে। ওই ঘটনার পরে দলের তরফেও তাঁরে সতর্ক করা হয়েছিল। পুরভোটে দলীয় প্রতীকে টিকিও দেওয়া হয়নি তাঁকে। তবে নির্দল হিসেবে জিতে ফের শাসক দলেই ভিড়েছেন তিনি। |