রিবেরি থেকে ল্যাম্পার্ড, ছিল ফুটবল তারকার সমাগম। ছিল দুই পটু কোচের ট্যাকটিক্সের লড়াই। ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী বায়ার্ন মিউনিখ ও ইউরোপা লিগ জয়ী চেলসির ধুন্ধুমার লড়াই।
প্রতি বছরের মতো ইউরোপীয় ফুটবলের নতুন মরসুম শুরু হল সুপার কাপ ম্যাচ দিয়ে। যে ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। নির্দিষ্ট সময় ২-২ থাকায় মোরিনহোর চেলসি-কে টাইব্রেকারে ৫-৪ হারিয়ে সুপার কাপ জিতল বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অবশ্য শুরু হল মোরিনহো-নাটক। রেফারির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ আনলেন চেলসির কোচ। হারের সব দায় রেফারি জোনাস এরিকসেন-এর ওপর চাপিয়ে মোরিনহো সাফ বলেন, “যদি ফুটবল কেউ ভালবাসে, তবে সিদ্ধান্ত সব সময় ঠিক নিতে হয়। যারাই ফুটবলের সঙ্গে পেশাগত ভাবে জড়িত তাদের মধ্যে একটা জিনিস সব সময় থাকতে হয় খেলার প্রতি আবেগ। যা রেফারির মধ্যে দেখতে পেলাম না।” |
|
|
মোরিনহোর বিরক্তির দিনে কাপ উঠল রিবেরির হাতে। |
|
ম্যাচের শুরুতেই তোরেসের গোলে ১-০ এগিয়ে যায় চেলসি। বিরতির পরে ইউরোপসেরা ফুটবলার ফ্রাঙ্ক রিবেরির গোলে ১-১ করে বায়ার্ন। কিন্তু দুটো হলুদ কার্ড দেখে ম্যাচ ছাড়তে হয় চেলসির ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার র্যামিরেজ-কে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে হ্যাজার্ডের গোলে চেলসি ২-১ করলেও, জাভি মার্তিনেজের গোলে ম্যাচ টাইব্রেকারে যায়। পেনাল্টি থেকে চেলসি স্ট্রাইকার লুকাকু গোল না করতে পারায় ম্যাচে জয় পায় বায়ার্ন।
মোরিনহোর অবশ্য কিছুতেই এই হার হজম হচ্ছে না। ম্যাচের পর বলেই দেন, “আমার মতে চেলসি অনেক ভাল খেলেছে বায়ার্নের থেকে। দশ জন ফুটবলার নিয়েও আমরা লড়াই করেছি।” সঙ্গে র্যামিরেজের লাল কার্ডের সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করে মোরিনহো যোগ করেন, “কোনও ভাল রেফারি হলে আগে র্যামিরেজকে বোঝাতো, যে এ রকম আর যেন না হয়। বা বলত ডাইভ দিও না, ফাউল কোরও না। তার পরে কার্ড দেখানোর প্রশ্ন।” মোরিনহোর সঙ্গে একমত দলের ডিফেন্ডার গ্যারি কেহিলও। বলেন, “রেফারির অনেক সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। মনে হচ্ছিল বায়ার্ন যতক্ষণ না গোল করবে, রেফারি ম্যাচ শেষ করবে না।” |