স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানালেন অভিভাবকদের একাংশ। খাতড়ার একটি স্কুলের ওই অভিভাবকেরা শুক্রবার মহকুমাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা করেন। মহকুমাশাসক (খাতড়া) শুভেন্দু বসু বলেন, “অভিযোগের তদন্ত করা হবে।” অভিভাবকরা স্কুলের মিড-ডে মিল, বৃত্তিমূলক শাখা, হস্টেল খরচের হিসাব থেকে ছাত্রদের ভর্তি ফি নিয়ে গরমিলের অভিযোগ করেছেন। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য তথা বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দাসেরও অভিযোগ, “প্রধান শিক্ষক নিজেই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমাদের হিসেব না দিয়ে বেনিয়ম একের পর এক বেনিয়ম করে যাচ্ছেন।” প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন গোস্বামীর পাল্টা দাবি, “স্কুলের কাজে কোনও গরমিল বা দুর্নীতি নেই। তা সত্ত্বে অভিজিৎবাবু আমার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন। তদন্ত হলেই সত্যটা প্রকাশ পাবে।”
|
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবকের নাম আশিস মাণ্ডি। বাড়ি বোরো থানার ছোলাগড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ধরা হয়। ওই তরুণীর অভিযোগ, আশিসের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে সহবাস করে বলে অভিযোগ। ঈদানিং ওই যুবক এড়িয়ে চলায় তরুণী থানায় অভিযোগ করেন।
|
রাজভাষা সম্পর্কিত তিন দিনের একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে পুরুলিয়া শহরে। উদ্যোক্তা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন। আদ্রা ডিভিশনের রাজভাষা আধিকারিক লোকনাথ ওরাং জানান, দৈনন্দিন কাজে রেলকর্মীরা হিন্দি ভাষার প্রয়োগ কী ভাবে করবেন, কর্মশালায় তা শেখানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বাঁকুড়া, আদ্রা রেলশহর এবং আনাড়াতেও এই কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
|
কলেজে যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে ফের এক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইস্তফা দিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার বরাবাজার বিক্রম টুডু মেমোরিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশিস নায়েক কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দেন। কিন্তু, মন্ত্রী গ্রহণ করেননি। বৃহস্পতিবার ওই কলেজে আংশিক সময়ের কিছু শিক্ষক ক্লাস না করে স্টাফরুমে বৈঠক করছিলেন বলে অভিযোগ। আশিসবাবু তাঁদের ক্লাস করতে যেতে বলায় বচসা হয়। কিছু পরেই বরাবাজারের ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য চন্দন সিংহ মল্ল দলবল নিয়ে অধ্যক্ষের অফিসে ঢুকে আশিসবাবুকে শারীরিক নিগ্রহ করে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। যদিও চন্দনবাবু ওই দিন কলেজে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। আশিসবাবু বলেন, “শান্তিরামবাবুকে হামলার কথা জানিয়েও কাজ না হওয়ায় তাঁকে ইস্তফাপত্র দিয়েছিলাম। তিনি গ্রহণ না করায় এ বার ডাকযোগে তাঁর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠাব।” জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরামবাবু বলেন, “আশিসবাবুকেই কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি। বিষয়টি আমি নিজে দেখছি।”
পুরনো খবর: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিগ্রহের অভিযোগ
|
মাও নেতা কিষেনজির মৃত্যুর বদলা চেয়ে পোস্টার পড়ল বান্দোয়ানে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লিকি গ্রামে একটি হিমঘরের দেওয়াল থেকে পুলিশ তা উদ্ধার করে। তবে এসপি নীলকান্ত সুধীরকুমার দাবি করেন, “পোস্টারটি মাওবাদীদের নয়।” |