কলেজে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিগ্রহ করে আসবাসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বরাবাজারের বিক্রম টুডু মেমোরিয়াল কলেজে এমনই ঘটেছে বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশিস নায়েক কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর কাছে অভিযোগ করেন। কলেজে গোলমালের খবর পেয়ে বিডিও পুলিশকে কলেজে পাঠান। শান্তিরামবাবু বলেন, “কলেজে কিছু গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। দু’পক্ষের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নেব।” তবে বরবাজারের ওই যুব তৃণমূল সভাপতি চন্দন সিংহ মল্ল তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুরে। আশিসবাবুর দাবি, তাঁর কাছে কয়েকজন ছাত্র গিয়ে জানান শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি। স্টাফরুমে তিনি গিয়ে দেখেন আংশিক সময়ের কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছেন। আশিসবাবু ওই শিক্ষকদের বৈঠক বন্ধ রেখে ক্লাসে যেতে বলেন। এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে বতসা বাধে। এরপরেই গোলমাল বাড়ে। আশিসবাবুর অভিযোগ, “কিছুক্ষণ পরে যুব তৃণমূল নেতা তথা আমাদের কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য চন্দন সিংহ মল্ল বহিরাগত কিছু ছেলেকে নিয়ে চেম্বারে ঢুকে আমার উপরে চড়াও হন। আমি নাকি ক্লাস না নেওয়ায় আংশিক সময়ের দুই শিক্ষককে থাপ্পড় মেরেছি, এমনই নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলো তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে আমাকে নিগ্রহ করেন। চেয়ার উল্টে দিয়ে তাঁরা দেওয়ালের ফোটো ভেঙে দেন। শিক্ষকদের হাজিরা খাতার পাতা ছিঁড়ে দেয়।” চন্দনবাবুর পাল্টা দাবি, “আশিসবাবু মিথ্যা কথা বলছেন। আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। কলেজে যাইনি। তবে আশিসবাবুর সঙ্গে কলেজ শিক্ষকদের একাংশের অনেক দিন ধরে গোলমাল চলছিল বলে শুনেছি। তিনি শিক্ষকদের শারীরিক ভাবেও নিগ্রহ করেন বলেও শুনেছি।” তবে আশিসবাবু অবশ্য পুলিশের কাছে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন কলেজের আংশিক সময়ের ১২ জন শিক্ষক আশিসবাবুর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন। বরাবাজারের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “কলেজে গোলমাল হচ্ছে শুনে আমিই থানায় খবর দিই।” |