রাজ্যের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব সত্ত্বেও লোকসভায় বৃহস্পতিবার জমি বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে তৃণমূল। তার পরেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ এসএমএস করে ‘ধন্যবাদ’ জানালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। মমতাকে কটাক্ষ করে এসএমএসে জয়রাম লিখেছেন, “থ্যাঙ্কস ফর দ্য সাপোর্ট অন ল্যান্ড বিল।”
এসএমএসের জবাবের জন্য অপেক্ষা করেছেন জয়রাম। মমতা জবাব দেননি। তবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “জয়রাম এমন বাজে কথা বলেই থাকেন। ওঁর কথাকে কেউ গুরুত্ব দেন না।” তাঁর বক্তব্য, “কংগ্রেস কটাক্ষ করতেই পারে। কিন্তু তৃণমূল জমি আন্দোলন করেছে। তাই সমস্যার বাস্তব দিকটা বোঝেন তৃণমূল নেত্রী। দল সেই অনুযায়ী অবস্থান নিয়েছে।”
কিন্তু জয়রাম কী বলছেন?
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কথায়, “আশা করেছিলাম তৃণমূল জমি বিলে সমর্থন জানাবে। কারণ, ওই বিলটিতে রাজ্যের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “বিলে বলা হয়েছে যে রাজ্য সরকার চাইলে বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ নাও করতে পারে। তা ছাড়া ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ আরও বাড়ানোর ক্ষমতাও রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে।’’ রমেশ জানিয়েছেন, মমতার সঙ্গে দু’বার দেখা করে এই বিষয়গুলি জানিয়েছেন তিনি। তার পরেও বিরোধিতার কোনও কারণ ছিল না বলেই মনে করেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী।
কাল লোকসভায় জমি বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে কেবল তৃণমূলের ১৮ জন ও আরএসপি-র সাংসদ প্রশান্ত মজুমদার বিরুদ্ধে ভোট দেন। কিন্তু বিজেপি ও বাম-সহ বাকি সব বিরোধী দলই বিলের পক্ষে ভোট দেন।
তৃণমূলের সমর্থন পেতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি রমেশ। রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের আপত্তি ও অসন্তোষ সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ধারাবাহিক ভাবে বরাদ্দ অনুমোদন করে গিয়েছেন তিনি। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখি পূর্ণিমায় শুভেচ্ছা জানিয়েও এসএমএস করেছিলেন। কিন্তু নরম করা যায়নি তৃণমূলকে। আজ আক্ষেপের সঙ্গেই রমেশ বলেন, “জমি বিলে রাজ্যকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু তৃণমূলের জন্য কেন্দ্রের বিল বদলাতে পারব না।”
|