|
|
|
|
জেরায় হাজির না হয়ে গ্রেফতারির মুখে আশারাম |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
জোধপুর পুলিশের সামনে হাজিরা দিলেন না আশারাম বাপু। জোধপুরে নিজের আশ্রমে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত আশারামকে জেরার জন্য হাজির হতে আজ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল পুলিশ। জোধপুর পুলিশ জানিয়েছে, তারা আর সময়সীমা বাড়াতে রাজি নয়।
এখন মধ্যপ্রদেশে আছেন আশারাম। আজ তাঁর ছেলে নারায়ণ সাই জানান, জোধপুর যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তাঁরা। নয়াদিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিটও কাটা হয়েছিল। কিন্তু, বাবার শরীর খারাপ। তাই জোধপুরে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। শরীর ঠিক হলে তবেই হাজিরা দিতে পারবেন। জোধপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অজয় লাম্বা জানান, “আশারামের এই সময়সীমা এড়ানোর বিশ্বাসযোগ্য কারণ নেই।” লাম্বা জানান, মধ্যপ্রদেশে আশারামকে জেরা করার জন্য একটি দল পাঠানো হবে। আশারাম সহযোগিতা না করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
ইতিমধ্যে গ্রেফতারি এড়াতে আইনি পথও খুঁজতে শুরু করে দিয়েছিলেন আশারাম। আজ গুজরাত হাইকোর্টে তাঁর জন্য ভ্রমণকালীন আগাম জামিনের (ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটরি বেল) আর্জি জানান আইনজীবী সুধীর নানাবতী। এই জামিন মঞ্জুর হলে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যায় না। কিন্তু, বিচারপতি এ জে দেশাই ওই আর্জি মঞ্জুর না করার ইঙ্গিত দেওয়ায় তা প্রত্যাহার করে নেন নানাবতী।
তার পরেই শুরু হয় আর এক প্রস্থ নাটক। নয়াদিল্লির বিমান ধরতে ভোপালের আশ্রম ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন আশারাম। বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আশারাম-সমর্থকদের। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা। গোলমালের জেরে বিমান ধরতে পারেননি আশারাম। তার পরে তিনি কোথায় গিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আগে আশারামের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন উমা ভারতীর মতো বিজেপির কিছু নেতানেত্রী। কিন্তু পরে আশারামের সমর্থনে কিছু না বলতে নির্দেশ জারি করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, উমা ভারতীদের পদক্ষেপ পছন্দ করেননি নরেন্দ্র মোদী। আজ নাম না করেই আশারামের সমালোচনা করেন মোদী। তাঁর কথায়,“সন্তরা এ ধরনের কাজ করলে সমাজের গায়ে কলঙ্কের দাগ পড়ে।”
|
পুরনো খবর: সনিয়া-রাহুলের ইশারায় হেনস্থা, দাবি আশারামের |
|
|
|
|
|