সনিয়া-রাহুলের ইশারায় হেনস্থা, দাবি আশারামের
ংগ্রেস নেত্রী সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর নির্দেশেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন আশারাম বাপু। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে মদত দেয় না। জোধপুরে তাঁর আশ্রমে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে আশারামের বিরুদ্ধে।
আশারামের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জোধপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অজয় পাল লাম্বা। যথা সময়ে জেরার জন্য হাজির না হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ফলে যথেষ্ট বিপাকে আশারাম। সে জন্যই তিনি মরিয়া হয়ে নানা মন্তব্য করছেন বলে ধারণা নানা শিবিরের।
আজ তাঁর রাজনৈতিক যোগ নিয়ে আশারামকে প্রশ্ন করে সংবাদমাধ্যম। তখনই উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল আমার পাশে নেই। আমি জেলে যেতেও রাজি।” তার পরেই তিনি বলেন, “ম্যাডাম আর তাঁর ছেলের নির্দেশেই আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে শুনেছি। ধর্মান্তকরণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সাড়ে চার বছর ধরে ওঁরা সমর্থন করছেন।”
ভোপালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি আশারাম। ছবি: পিটিআই।
প্রত্যাশিত ভাবেই আশারামের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহের বক্তব্য, “আশারাম এমন কেউ নন যাঁকে নেহরু-গাঁধীরা ফাঁসানোর চেষ্টা করবেন। তা ছাড়া কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা নেহরু-গাঁধীদের স্বভাব নয়।” দিগ্বিজয়ের পরামর্শ, বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতে আত্মগোপন না করে জোধপুর পুলিশের সঙ্গে দেখা করা উচিত আশারামের।
গত কয়েক দিনে আশারামের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন উমা ভারতী-সহ কয়েক জন বিজেপি নেতা-নেত্রী। কিন্তু, এ বার নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করতে দলকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। রাজ্যসভার বিরোধী নেতা অরুণ জেটলি প্রকাশ্যেই বলেছেন, “আশারামকে নিয়ে দলের কাউকে মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, আশারামের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেই ধারণা দলীয় নেতৃত্বের। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে প্রচারের হাতিয়ার দিতে নারাজ বিজেপি।
তবে গুজরাতের রাজনীতিকদের সঙ্গে আশারামের যোগ আছে বলে মনে করেন অনেকে। ২০০৮ সালে দীপেশ ও অভিষেক বাঘেলা নামে দুই কিশোরের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল আশারামের আমদাবাদের আশ্রমের কাছে। ‘কালো যাদু’ চর্চার সময়ে তাদের খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। দীপেশের বাবা প্রফুল্ল বাঘেলা আজ দাবি করেন, “আসল অপরাধীরা আজও ধরা পড়েনি। এই ঘটনা নিয়ে তা-ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলেছেন। আমার ছেলে মারা যাওয়ার সময়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী কোনও কথাই তো বলেননি।”
আশারামের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আজ শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছেন জনৈক ডি আই নাথন।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.