টানা ২০ ঘণ্টা অপহৃত থাকার পর চোপড়ার চাদরাগছ থেকে উদ্ধার হলেন সিপিএমের সোনাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণুপদ দাস ও তাঁর ভাইপো। বৃহস্পতিবার দুই জনকে উদ্ধার করে ইসলামপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। বিষ্ণুপদবাবুর দাবি, “গত বুধবার রাতে অপহরণের পর আমাকে সুজালি এলাকায় একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। সকালে বাইকে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানেই ভাইপোকে দেখতে পাই। ওকেও অপহরণ করা হয়েছিল জানতাম না। তৃণমূলের লোকজনই আমাদের অপহরণ করেছিল।” ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ভাইপো ষষ্ঠীচরণ দাস বলেন, “চোপড়ায় জেঠুর অপহরণ হওয়ার খবর পেয়ে খুজতে বার হই। তখন আমাকেও অপহরণ করে তৃণমূলের লোকজন। আমাকেও রাতে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সকালে বাইকে নিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়।” বিষ্ণুবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাইন আখতারের নেতৃত্বে ওই কাজ হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।” দুই জনকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে এদিন সোনাপুর বাজার বন্ধের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সকালে এলাকায় ৩ ঘন্টা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম সদস্যরা। পরে দুই জনকে উদ্ধারের খবর চাউর হতেই সিপিএমের সদস্যরা অবরোধ তুলে নেন। সিপিএমের অভিযোগ, বুধবার ইসলামপুরে বৈঠক সেরে ফেরার সময় চোপড়ার দলুয়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকাতে অপহৃত হন বিষ্ণুপদবাবু। পাল্টা নেতাদের অপহরণের অভিযোগ করে তৃণমূল। চার জায়গায় রাত অবধি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।
|