জাতীয় সড়কের গর্তে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাথরকুচি ভর্তি ট্রাক উল্টে এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কালিয়াচকের ডাঙ্গা এলাকায়। দুর্ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর পুলিশ পৌঁছোলে গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ কালিয়াচক থানার ডাঙ্গার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ছাত্রের নাম নূর মহম্মদ (১১)। পাথরবোঝাই ট্রাকে চাপা পড়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। জালালপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেনির ছাত্র ছিল নূর মহম্মদ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরে বাসিন্দারা প্রায় চার ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মখোপাধ্যায় বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। রাস্তার মাঝে বড় একটি গর্তে পাথর বোঝাই ট্রাক পড়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পড়ে, ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গাড়ি ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।” যাত্রীদের অভিযোগ, ফরাক্কা থেকে ময়না ৬০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক বড় গর্তে ভরে গিয়েছে। প্রতিদিনই যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন বরানগর ডাঙ্গার প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মাসিদুর শেখের ছেলে নূর মহম্মদ জাতীয় সড়ক পার হয়ে স্কুলে যাওয়ার সময়ে মালদহের দিকে যাওয়া একটি ট্রাক দেখে নূর মহম্মদ রাস্তার পাশিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, উল্টো দিক থেকে একটি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তায় বড় গর্তে পাথরকুচি বোঝাই ট্রাকটির সামনের চাকা পড়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে। প্রথম শ্রেণির ছাত্র নূর মহম্মদ ওই ট্রাকের ট্রাকের তলায় চাপা পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়কের বেহাল দশার অভিযোগ করে অবরোধ শুরু করেন। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতের জন্য জাতীয় সড়ক ইঞ্জিনিয়ারদের ডাকা হয়েছিল। তাঁরা মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন।” |