পুরভোটের মুখে ‘ফ্লাড শেল্টার’ নিয়ে বির্তক শুরু হয়েছে বালুরঘাটে। বন্যা দুর্গতের আশ্রয়ের জন্য ভবন তৈরি হলেও বন্যার সময়ে কাউকে ভবনে রাখার জন্য পুরসভা ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। প্রতি বর্ষায় বন্যা দুর্গতদের ভবনে রাখা হয় বলে দাবি করেছেন পুরসভায় ক্ষমতাসীন আরএসপি-র নেতারা। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, ভোটের আগে অপপ্রচার চালিয়ে বাসিন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সীমান্তবর্তী জেলা শহর বালুরঘাটে বাসিন্দাদের উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজন করার মতো ভবনের অভাব পূরণ করতে পুর কর্তৃপক্ষ গত তিন দশকে ফ্লাডশেল্টার সহ শহর জুড়ে মোট ৬টি ভবন তৈরি করে। পাশপাশি, কলকাতার সল্টলেকেও তৈরি করা হয়েছে অতিথিশালা। পুরসভা সূত্রের খবর, গত ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে শহরের সাহেবকাছারি এলাকার উৎসব ভবন থেকে ভাড়া বাবদ আয় হয়েছে ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা, বাস স্ট্যান্ড এলাকার সুবর্ণা ভবন থেকে ২ লক্ষ টাকা, চকভবানীর অনন্যা ভবন থেকে ২ লক্ষ টাকা, দিশারীপাড়ার হরিভজন ভবন থেকে ৫২ হাজার টাকা, ক্ষণিকা থেকে ১৫ লক্ষ, রঘুনাথপুর হাসপাতাল সংলগ্ন সৌহার্দ্য ভবন থেকে ৩ লক্ষ টাকা পুরসভার আয় হয়। কলকাতার ভবন মিলিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের আয় ৩৫ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ফিবছর আয়ের বহর বাড়িয়ে গেলেও আরএসপি পরিচালিত কর্তৃপক্ষ ভবনগুলি থেকে নাগরিকদের সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, “বন্যা কবলিত বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন পাড়ায় সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় ফ্লাড শেল্টারের বাড়ি তৈরি করে পুরসভা ব্যবসা করে গিয়েছে। কোনও বন্যা দুর্গতকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। ভবনগুলিতে জল ও পাখার সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। প্রচারে নাগরিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরছি।” পুরসভার বিদায়ী চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভবনগুলি থেকে বাসিন্দারা পরিষেবা পান বলেই উৎসব অনুষ্ঠানে ভাড়া নেন। বন্যার সময়ে ভবনগুলিতে দুর্গতদের রাখার ব্যবস্থা হয়। পাশাপাশি এ ভবনগুলি অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে। ভোটের মুখে অপপ্রচার করে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না।” |