ছাত্র-যুবর দায়িত্বে সেই ইন্তাজ আলি
কেশপুরে সংগঠনের হাল ফেরাতে উদ্যোগী সিপিএম
বিধানসভা নির্বাচনের আড়াই বছর পর কেশপুরে দলের সংগঠন পুনর্গঠনে উদ্যোগী হল সিপিএম।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল পর্যালোচনায় বুধবার কেশপুর জোনাল কমিটির বর্ধিত সভা হয় মেদিনীপুরে। সেখানে দলীয় কর্মীদের ১৮ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ হল বই পড়া। ১০টি বই জোনাল কমিটির সব সদস্য, লোকাল কমিটির সদস্য এবং শাখা সম্পাদকদের কিনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, এখন দলের নেতা-কর্মীদের চেতনা বাড়ানো জরুরি। বই পড়লে তা বাড়বে।
সিপিএমের কেশপুর জোনাল কমিটির পর্যালোচনা হল বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কেশপুর জোন এলাকায় দল রাজনৈতিক ভাবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই পরিস্থিতিতে কী ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব?
সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য এ ব্যপারে আশাবাদী। তাঁদের মতে, সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভয়-ভীতি কাটিয়ে সতর্কতার সঙ্গে রাজ্য, জেলা এবং জোনাল কমিটির গৃহিত কর্মসূচিগুলো মেনে সংগঠন পরিচালনা করলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। কারণ, জনগণ দলের সঙ্গে আছেন। শুধু মৌখিক ভাবে নয়, এই বার্তা লিখিত ভাবে কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, বুধবার মেদিনীপুর শহরের কৃষক ভবনে এই বর্ধিত সভা হয়। মূলত, জোনাল সদস্য এবং লোকাল কমিটির সদস্যরাই সভায় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ রায়। নেতৃত্বের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচন বিনা যুদ্ধে শেষ হয়েছে। জনমতের প্রতিফলন এই নির্বাচনে ঘটেনি। কিন্তু, পঞ্চায়েতের ফল একেবারেই যে খারাপ তা বলে দিচ্ছে নির্বাচনের ঘোষিত ফলই। এই পরিস্থিতিতে বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন নেতৃত্ব। জানানো হয়েছে, ৩১ অগস্টের মধ্যে বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট একত্রিত করে লোকাল কমিটি মারফত জোনাল অফিসে জমা দিতে হবে। সংগঠন পুনর্গঠনে ছাত্র-যুব-মহিলা এবং কৃষকদের গুরুত্ব দিতে চাইছে সিপিএম। যাঁরা নিষ্ক্রিয়, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। কর্মীদের বলা হয়েছে, লোকাল কমিটি ধরে কে নিষ্ক্রিয় কে সক্রিয় দেখে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলায় রিপোর্ট দিতে হবে। শাখা সম্পাদকদের ব্যক্তিগত কাজের মূল্যায়ন, নতুন এজি সদস্যের তালিকা করতেও বলা হয়। যাঁরা বিরুদ্ধপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংগঠনের ক্ষতি করবেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন নেতৃত্ব। বুধবারের বৈঠকে বিভিন্ন গণ-সংগঠনের কাজ দেখভালের জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। ছাত্র-যুবর কাজকর্ম দেখবেন তন্ময় ঘোষ, সোমনাথ পালধি এবং ইন্তাজ আলি। ইন্তাজ কেশপুরের দাপুটে নেতা। একটি কঙ্কাল মামলায় জেলে ছিলেন। এখন জামিনে মুক্ত। মহিলা সংগঠনের দায়িত্বে থাকছেন রুবি রায়। তাঁকে সহযোগিতা করবেন নন্দরানি ডল। নন্দরানিদেবী প্রাক্তন মন্ত্রী। কৃষকসভার কাজকর্ম দেখভাল করবেন জহিরুল হক এবং নুরুল ইসলাম। এঁদের সহযোগিতা করবেন রামেশ্বর দোলুই। রামেশ্বরবাবু কেশপুরের বিধায়ক। সিটুর দায়িত্বে থাকছেন নিয়ামত হোসেন এবং শক্তি অধিকারী।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.