পশ্চিমে মনিটরিং কমিটির বৈঠক
ফাঁকি চলবে না, বার্তা জেলাশাসকের
কাজে ফাঁকি চলবে না। ত্রুটি হলেই সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককেই তার জবাব দিতে হবে। কোনও রকম বাহানা চলবে না। বৃহস্পতিবার ডিস্ট্রিক্ট লেভেল মনিটরিং কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের এ ভাবেই নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর জেলার সব দফতরকে নিয়ে এটাই ছিল তাঁর প্রথম মনিটরিং কমিটির বৈঠক। জেলা প্রশাসন কী কাজ করছে তা খতিয়ে দেখতে প্রতি মাসেই মনিটরিং কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে কালেক্টরেটের বিভিন্ন দফতর তো থাকেই তারই সঙ্গে জেলার সমস্ত ‘লাইন ডিপার্টমেন্ট’গুলিও (কৃষি, সেচ, পূর্ত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য) থাকে। এ দিনও সার্কিট হাউসে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষত, চারটি বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে এদিন তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার মধ্যে রয়েছে কৃষি, উদ্যানপালন ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগ। ছিল শিক্ষা বিভাগও। শিক্ষার ব্যাপারে নতুন জেলাশাসক মিড-ডে মিল প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সম্প্রতি বিহারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিড ডে মিলের খাবার নিয়ে জোর হইচই হয়েছিল। এ ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। তারই সঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শককে (প্রাথমিক) নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করারও নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে মিড ডে মিলকে কী ভাবে আরও ভাল করা যায়, সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ করতে বলেন। সব থেকে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষি, উদ্যানপালন ও প্রানী সম্পদ বিকাশ বিভাগ নিয়ে। কারণ, এই দফতরগুলিতে কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। বার্ষিক রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার যে, বিগত আর্থিক বছরের টাকাও সময়ে খরচ করতে ব্যর্থ দফতরগুলি। অথচ, রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা, ন্যাশনাল ফুড সিকিওরিটি মিশন-সহ একাধিক প্রকল্পে অর্থ পায় দফতরগুলি। এই দফতরগুলি বেশিরভাগই যে খরচ দেখায়, তা ‘কমিটেড এক্সিপেন্ডিচার’। এ বার ওই পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করার জন্য পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। কাজ না হলে তিনি যে ছেড়ে কথা বলবেন না, তা বোঝাতে, তিনি বৈঠকেই সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি আগে যে সব জায়গায় কাজ করেছি, সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখে নেবেন, আমি কী ভাবে কাজ করেছি। তাহলে সুবিধে হবে।’ এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের, ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান-সহ সব ধরনের কাজই এ দিন খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। প্রতিটি বিভাগকেই সব প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশও দেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প বা আইএপিতে কাজের অগ্রগতি মোটের উপর ভালোই। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষও হয়ে যাবে। আরও একটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন জেলাশাসক। তা হল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মীরা নিয়মিত যাচ্ছেন কি না, মা ও শিশুরা উপযুক্ত খাবার পাচ্ছেন কি না, তা দেখতে যে কোনও দিন ওই কেন্দ্রে হাজির হয়ে যেতে পারেন বলেন বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এই বৈঠক অতি গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে, কোন কোন দফতর গরহাজির তা নথিভুক্ত রাখতে বলেছেন জেলাশাসক।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.