|
|
|
|
তালগাছাড়িতে প্রধান তৃণমূলের |
কৌশলে পঞ্চায়েত দখল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও এগরা |
যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তেমনটাই হল। রামনগর ১ ব্লকের তালগাছাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পটাশপুর ২ ব্লকের খাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড দখলে রাখল শাসকদল তৃণমূল। তবে আদালতের নির্দেশে ফের স্থগিত রইল এগরা ১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। গত ১৭ অগস্ট প্রধান, উপ-প্রধান নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক গণ্ডগোলে বাতিল হয়ে গিয়েছিল এই তিন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন।
তালগাছাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গণ্ডগোলের কারণ ছিল, ১২ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে দু’দলেরই আসন ৬-৬। ফলে উভয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতে তৎপর হয়। তালগাছাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত। পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে একটি আসন তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত ছিল। সেখানে জিতেছিলেন সিপিএমের সোনালী দে। সিপিএমের তরফে যুক্তি ছিল, তফসিলি মহিলা আসন থেকে জেতা দলীয় প্রার্থীই প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার। অন্য দিকে তৃণমূলের বক্তব্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য সাধারণ আসন থেকে জিতে আসা তফসিলি মহিলাও প্রধান হতে পারেন। যে আসন থেকেই জিতুন, প্রধান তফসিলি মহিলা হলেই হবে। ১৭ অগস্টের আগেই প্রধান পদের জটিলতার নিষ্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে দরবার করে সিপিএম। তখন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, পঞ্চায়েত আইন ও বিধি অনুসারে বিডিও-ই প্রধান পদের জটিলতার নিষ্পত্তি করবেন। রামনগর ১-এর বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে জানান, প্রধান তফসিলি মহিলা হলেই হবে। তফসিলি সংরক্ষিত আসনে তাঁকে জিততে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। সিপিএম এর বিরোধিতা করলে বোর্ড গঠনের দিন দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে না পারায় প্রধান নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়। সিপিএম ও তৃণমূলের জয়ী ১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়। সিপিএম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট জামিনের আবেদন নাকচ করে। ইতিমধ্যে তৃণমূলের অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যরা কাঁথি আদালতে গিয়ে জামিন নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তায় বোধড়া-য় পঞ্চায়েত অফিসে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিপিএমের তিন জন জয়ী সদস্য সেখানে উপস্থিত হলে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিপিএমের অনুপস্থিতিতে প্রধান হিসাবে তৃণমূলের গীতা জানা ও উপপ্রধান হিসাবে তৃণমূলেরই বিশ্বজিৎ জানা নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক আশিস প্রামাণিক বলেন, “প্রশাসনের উচিত ছিল আমাদের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা। তা না করে শাসকদলের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমাদের সদস্যদের গ্রেফতার করাল।”
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার খাড় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হলেও ফের পিছিয়ে গেল বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে বারিদা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত রয়েছে। খাড় পঞ্চায়েতে প্রধান হয়েছেন তৃণমূলের আলপনা সাউ, উপপ্রধান হন গৌরহরি মণ্ডল। |
|
|
|
|
|