|
|
|
|
পাঁশকুড়ায় কাঁসাইয়ের বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ |
গোপালপুরে প্রাকৃতিক সমুদ্রবাঁধে ভাঙন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ হল অবশেষে।
বুধবার ভোরে পাঁশকুড়ার কাঁসাই নদীতে অস্থায়ী বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করেছে সেচ দফতর। ফলে প্রবল গতিতে জল ঢোকা বন্ধ হয়েছে আপাতত। এতে পাঁশকুড়া পুরসভা ও ব্লকের প্রতাপপুর-২, পুরুষোত্তমপুর, রাধাবল্লভচক ও রঘুনাথচক এলাকায় পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হলেও জল এসে তমলুক ব্লকের অনন্তপুর-১, ২, শ্রীরামপুর-১, ২, পদুমপুর-১, ২-সহ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ২টি ও নন্দকুমার ব্লকের বরগোদারগোদা পঞ্চায়েতের ৭টি গ্রামে ঢুকেছে। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য অবশ্য আশ্বস্ত করেন, “নদী থেকে জল ঢুকছে না। কংসাবতী ব্যারেজের জল ছাড়া বন্ধ রয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে।” |
|
গোপালপুরে ভাঙছে সমুদ্রের পাড়। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর অঞ্চলের গোপালপুর থেকে কাদুয়া পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার প্রাকৃতিক সমুদ্রবাঁধ বিপজ্জনক ভাবে ভেঙে পড়েছে সম্প্রতি। এ ছাড়াও সমুদ্রের পাশ বরাবর বেশ কিছু ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। যা দেখে গোপালপুর ও কাদুয়া-সহ আশপাশের এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বাঁধের মাটি কেটে একের পর এক বাগদা ভেড়ি গজিয়ে ওঠায় গোপালপুরে প্রাকৃতিক সমুদ্র বাঁধের অস্তিত্ব ক্রমশই বিপন্ন হয়ে পড়ছে। হুঁশ নেই প্রশাসনের। কাঁথি সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন পণ্ডিত বলেন, “সেচ দফতর গত বছর বাঁকিপুট থেকে গোপালপুর পর্যন্ত সমুদ্রবাঁধ প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করে পাথর দিয়ে বাঁধিয়েছিল। কিন্তু যে ভাবে সমুদ্রপাড় দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ভাঙছে তাতে চিন্তা হচ্ছে।”
এরই মধ্যে নাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলায় গড়ে ২৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আরও ৫৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার সকালে পাঁশকুড়ার মাইশোরায় মাছ ধরতে গিয়ে কাঁসাই নদীর স্রোতে তলিয়ে গিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। শেখ সাত্তার আলি নামে বছর পঞ্চান্নর ওই ব্যক্তি এ দিন মাছ ধরার জাল নিয়ে নদী পার হওয়ার সময় স্রোতের টানে তলিয়ে যান। অনেক খুঁজেও সন্ধান মেলেনি। বিকেলে মাইশোরা থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে ন’পাড়ার কাছে একটি দেহ ভেসে ওঠে। তবে, দেহটি সাত্তারের নয় বলেই জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। এ দিনই দুপুরে তমলুক ব্লকের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা একটি কালভার্ট বন্ধ করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ বাধে। একদল গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। অল্প সময়ের জন্য অবরোধ হলেও তাতে ভালই যানজট হয়। তমলুক থানার বেলুন গ্রামে আবার মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মনুশ্রী জানা (১৫) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
|
পুরনো খবর: প্রবল বৃষ্টিতে জলবন্দিদের দুর্ভোগ চরমে |
|
|
|
|
|