সাফ কাপের প্রাক মুহূর্তে হঠাৎই দার্শনিক ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। কাঠমান্ডুতে পা দিয়েই বলছেন, “গোল স্রেফ একটা সংখ্যা ছাড়া কিছু নয়।” ভারতের জার্সি গায়ে বিপক্ষের জালে বল জড়ানোয় আই এম বিজয়নের সঙ্গে এক বিন্দুতে রয়েছেন তিনি। দু’জনেরই গোল চল্লিশ। পেরিয়ে এসেছেন অতীতের আরও দুই ভারত বিখ্যাত স্ট্রাইকার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯ গোল) এবং সাব্বির আলিকেও (২৩ গোল)। সুনীলের দু’ধাপ আগে রয়েছেন ভাইচুং ভুটিয়া। সাফ কাপে তিন গোল করলে তাই সব বড় নামকে ছাপিয়ে ভারতীয় ফুটবলের সর্বাধিক গোলদাতার মুকুট উঠবে তাঁরই মাথায়। কিন্তু সুনীল ছেত্রী তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। স্থানীয় পুলিশ মাঠে এ দিন অনুশীলন শেষে ফেরার পথে বলে গেলেন, “সাফ কাপ জিততে এসেছি। ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণ করতে নয়।” সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। আপাতত সেই ম্যাচই পাখির চোখ ভারত অধিনায়কের কাছে। জানেন ওই ম্যাচের গুরুত্ব। দেশের মানুষের প্রত্যাশা। সুনীল তাই বলছেন, “আমাদের কাছে প্রতিটা ম্যাচই ফাইনাল। আর প্রথম ফাইনালটা তো ১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।”
মঙ্গলবার বিকেলেই কাঠমান্ডুতে এসেছেন নবি-মেহতাবরা। শহরে এখন বর্ষা চলছে পুরোদমে। এ দিনও সকালে ভারী বর্ষণ হয়ে গিয়েছে। বিকেলে অনুশীলন হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু কোচ কোভারম্যান্স অনুশীলন বন্ধ করতে চাননি। বৃষ্টি একটু থামতেই দুপুরে সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে টিম বাস নিয়ে সোজা চলে যান হোটেল থেকে আধ ঘণ্টা দূরত্বের স্থানীয় পুলিশ মাঠে। বিকেল তিনটে থেকে টানা সওয়া এক ঘণ্টা ভারতীয় দলের অনুশীলন হল জোর কদমেই। কোভারম্যান্স বলছেন, “ভেজা মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই অনুশীলন। মাঠের কোনও কোনও জায়গায় ঘাস একটু বড়। তবে ওই সব চিন্তা সরিয়ে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছেলেরা।” কোচের সঙ্গে একমত ফুটবলাররাও। মিডফিল্ডার লেনি রডরিগেজ বলছেন, “কোচের কৌশল অনুযায়ীই পরিকল্পনা এগোচ্ছে। প্রথম ম্যাচটা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দলের মনোযোগ আপাতত ওই ম্যাচকে ঘিরেই। এ দিনই চব্বিশে পা দিলেন দলের ডিফেন্ডার এন মোহনরাজ। অনুশীলন সেরে হোটেলে ফেরার পর কেক কেটে তাঁর জন্মদিন পালন করলেন সুনীল-কোভারম্যান্সরা। ‘বার্থডে বয়’ মোহনরাজও বলছেন, “বেঙ্গালুরুর শিবির কাজে দিয়েছে। এ বার মাঠে নেমে তা প্রয়োগ করার পালা।”
|