|
|
|
|
‘নতুন’ ফেডেরারের অস্ত্র আক্রমণ |
সংবাদসংস্থা • নিউইয়র্ক |
উইম্বলডনে টানা ছত্রিশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগ নষ্ট করার পর রজার ফেডেরার গত রাতে তাঁর প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ খেললেন। এর মাঝে তিনি গত এক দশকের মধ্যে নিজের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং এবং বাছাইয়ে (দু’টো ক্ষেত্রেই ৭) নেমে গিয়েছেন। ৯৮ বর্গ ইঞ্চি ফ্রেমের বড় র্যাকেট নিয়ে দু’টো মামুলি ২৫০ এটিপি পয়েন্টের টুর্নামেন্ট খেলে সেখানেও ট্রফির মুখ দেখেননি। কিন্তু আবার যখন গ্র্যান্ড স্ল্যাম মঞ্চে ফিরলেন, সর্বোচ্চ মানের অ্যাথলিটের মেজাজেই ফেরত এলেন ফেডেরার। টেনিসমহলের অনেকে আবার বলছেন, ইনি নতুন ফেডেরার। যাঁকে এত আক্রমণাত্মক ফর্মের মধ্যগগনেও বেশি দেখা যায়নি।
স্লোভানিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রেগা জেমজা-কে ঘণ্টা দেড়েকের ভেতর ৬-৩, ৬-২, ৭-৫ হারানোর পথে বত্রিশ বছরের ফেডেরার এক ডজন ‘এস’ সার্ভের পাশাপাশি বিপক্ষের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি (৩৫-১৬) উইনার মারেন। “ঠিক করেছিলাম একটু বেশি আটাকিং খেলব,” ম্যাচ শেষে বলে ফেডেরার আরও যোগ করেন, “সে জন্য বেশি র্যালি-ট্যালির দিকে যাইনি।” এমনকী দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্তিনার কার্লোস বার্লোকের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়ে ফেডেরারের চোখ যেন কোয়ার্টার ফাইনালের মহাযুদ্ধের দিকেই। যেখানে কোনও অঘটন না ঘটলে ফেডেরার-নাদাল মুখোমুখি। “আমার কাছে এ বারের ড্র-টা উত্তেজক। তা ছাড়া এত বছরেও রাফার সঙ্গে কখনও ইউএস ওপেনে খেলিনি। তবে আমার শুধু ওর সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাই লক্ষ্য নয়। আসল লক্ষ্য হল, নিউইয়র্কে ট্রফি জেতা,” বলে দিচ্ছেন ফেডেরার। |
|
ফ্লাশিং মেডোয় প্রথম রাউন্ডে। ছবি: এএফপি। |
রজারের সঙ্গে ফ্লাশিং মেডোয় সফল অভিযান শুরু করলেন শীর্ষ বাছাই জকোভিচও। টানা চতুর্থ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ফাইনাল খেলার দৌড় শুরু করলেন জকোভিচ, বিশ্বের ১১২ নম্বর বেরানকিস-কে ৬-১, ৬-২, ৬-২ উড়িয়ে দিয়ে। ও দিকে ফ্লাশিং মেডো যেন উইম্বলডন সেমিফাইনালিস্টদের কাছে কবর হয়ে উঠেছে! প্রথম দিন লন্ডনের মেয়েদের সেমিফাইনালিস্ট ফ্লিপকিন্স প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যাওয়ার পর এ দিন বিদায় নিলেন ছেলেদের সেমিফাইনালিস্ট জের্জি ইয়াঙ্কোভিচ। দীর্ঘদেহী সেই পোলিশ বুম বুম সার্ভার স্ট্রেট সেটে ৪-৬, ৪-৬, ২-৬ হারেন কোয়ালিফায়ার গঞ্জালেসের কাছে। তবে হঠাৎ-ই পিঠের ব্যথায় শেষ সেটে ইয়াঙ্কোভিচ একবার আন্ডারহ্যান্ড সার্ভিসও করেন!
তবে ‘প্লেয়ার অব দ্য ডে’ অবশ্যই মার্কিন টিনএজার ভিক্টোরিয়া ডুভাল। ১৭ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গীর বাবা-মা দু’জনেই হাইতির। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২৯৬ নম্বরে থাকা অখ্যাত মেয়ে দু’বছর আগের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন ও এ বারের একাদশ বাছাই অস্ট্রেলীয় সামান্থা স্তোসুরকে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে দেন এক সেট এবং দ্বিতীয় সেটেও ০-২ পিছিয়ে থাকার পরেও। ৫-৭, ৬-৪, ৬-৪। জীবনের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচেই (গত বার এখানে প্রথম রাউন্ডে ক্লিস্টার্সের কাছে হেরেছিলেন) বিশাল অঘটন ঘটিয়ে ডুভাল বলেছেন, “গত বারের তুলনায় আমার এ বারের আবেগগুলো অন্য রকম। যার বেশির ভাগই সুখের। আনন্দে আমার গলার স্বর ভেঙে যাচ্ছে! গোটা ম্যাচটাই অবিশ্বাস্য ভাল খেলেছি। যার সামনে পড়েই ওর (স্তোসুর) ছাপান্নটা আনফোর্সড এরর হয়েছে।”
|
পুরনো খবর: ‘নার্ভাস’ নাদাল ড্রইংরুম থেকে ফের ফ্লাশিং মেডোয় |
|
|
|
|
|