জল্পনা উড়িয়ে ইউনাইটেডেই র্যান্টি |
‘ক্লাবকে এ বারও ট্রফি দিতে চাই’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুম্বই টাইগার্সের দু’কোটি টাকার লোভনীয় প্রস্তাব ছিলই। প্রচার ছিল তিনি মোহনবাগানেও সই করতে পারেন। সে সব হেলায় দূরে সরিয়ে, ক্লাব বাঁচানোর লড়াইতে শামিল হলেন র্যান্টি মার্টিন্সও। লালকমল, সংগ্রাম, দীপকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইউনাইটেডের অনুশীলনে নেমে পড়লেন আই লিগের গত বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বলে দিলেন, “ইউনাইটেডকে এ বার ট্রফি দিতে চাই। ঈশ্বর এবং আমার পরিবার আমার সঙ্গে আছেন।”
কিন্তু ময়দান জুড়ে গত এক মাস ধরে যে তীব্র জল্পনা ছিল আপনি ওডাফা ওকোলির সঙ্গী হচ্ছেন? “মোহনবাগান তিন কোটি টাকা দিলেও ওখানে খেলব না,” বলে দিলেন চূড়ান্ত পেশাদার র্যান্টি।
কিন্তু টাকা আর গোল ছাড়া যিনি আর বিশ্বের কোনও খবর রাখেন না বলে তাঁর সম্পর্কে রটনা আছে। সেই র্যান্টি শেষ পর্যন্ত বেগুনি জার্সি পরে খেলবেন কি না তা নিয়ে ধন্ধে ছিলেন অনেকেই। ক্লাব সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলের অনুশীলনে হাজির হয়ে কোচ ও কর্তাদের কাছে চুক্তিবদ্ধ ও অগ্রিম নেওয়া ফুটবলার শুধু জানতে চান, “আমি ইউনাইটেডেই খেলব বলে এসেছি। আপনারা শুধু বলুন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন তো?” আশ্বাস পেয়েই মাঠে নেমে পড়েন নাইজিরিয়ান গোলমেশিন। র্যান্টির সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েন অন্য দুই বিদেশি বেলো রাজ্জাক ও এরিকও। চতুর্থ বিদেশির খোঁজও করতে শুরু করেছেন কর্তারা। |
|
ইউনাইটেড কোচ এলকো সাতৌরির সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত র্যান্টি মার্টিন্স। বুধবার কল্যাণীতে। -নিজস্ব চিত্র |
কিন্তু কল্যাণীতে এলকো সতৌরির প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিল রীতিমতো আগোছালো। তড়িঘড়ি করে বারো-তেরো ঘন্টার মধ্যে সব গুছিয়ে উঠতে পারেননি কর্তারাও। নিজেদের ক্লাবের জার্সি না পেয়ে জুনিয়র টিমের জার্সি পরে নেমে পড়েন লালকমল-দীপকরা। কিছু দিন আগে পর্যন্তও ডায়েট মেনে খাবার খেয়েছেন ইউনাইটেড ফুটবলাররা। এ দিন দেখা গেল স্টেডিয়ামের পাশের ঝুপড়ি দোকানে বসে রুটি-তরকারি খেয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেই সকালে অনুশীলনে নেমে পড়েন রফিক-জয়ন্তরা। এনার্জি ড্রিঙ্ক দূরে থাক জলেরও ব্যবস্থা ছিল না। মোহনবাগানের কাছে গত মরসুমের বকেয়া টাকা চেয়ে আইনের ‘যুদ্ধে’ নামা স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও দেখা গেল অনুশীলন করতে।
এর পরও কিন্তু দু’বেলা অনুশীলন করল পুরো ইউনাইটেড। এবং সেটা হল ফুটবলারদের ইচ্ছেতেই। লালকমল-দীপকরা বলছিলেন, “সবাই অনেক আগেই নেমে পড়েছে প্রি সিজন প্র্যাকটিসে। আমরা দেরিতে নেমেছি। ফিট হতে হবে। সে জন্য কোচকে বলেছি দু’বেলা অনুশীলন করব। কারণ আমরা ফিট নই।”
প্রায় তিন মাস অনুশীলনের মধ্যে ছিলেন না র্যান্টি, বেলোরা। দেখে মনে হল, প্রত্যেকেই ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন। আনফিটও। সংগ্রামদের ফিটনেস নিয়ে এলকো বললেন, “ফুটবলারদের ফিটনেস লেভেল এই মুহূর্তে জিরো। আমাদের হাতে বিশেষ সময় নেই। আরও দু’সপ্তাহ আগে অনুশীলন শুরু করতে পারলে ভাল হত। প্লেয়ারদের ফিট হতে মোটামুটি ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এখন তো কিছু করার নেই। অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের তৈরি হতে হবে।”
এ দিন প্রধানত ফুটবলারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ওপরই জোর দিয়েছিলেন এলকো। বিকেলে র্যান্টি আর বেলো এনডিওরেন্স করলেও, বাকি ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করে ম্যাচ খেলান কোচ।
|
পুরনো খবর: অগ্রিম ছাড়াই অনুশীলনে নেমে পড়ার অভিনব সিদ্ধান্ত র্যান্টির টিমের |
|