বারো মাস আগে এই সময়টায় স্পেনের মায়োরকায় নিজের ড্রইংরুমে টিভির পর্দায় যুক্তরাষ্ট্র ওপেন দেখছিলেন রাফায়েল নাদাল! হাঁটুতে ব্যান্ডেজ। কোর্টে স্বমহিমায় ফিরতে পারবেন কি না-ই ঠিক নেই!
এক বছর পর সেই নাদাল এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে এক নম্বর ফেভারিট!
সাত মাস বিশ্রামের পর কোর্টে ফিরে গত ছ’মাসে বারোটা টুর্নামেন্টে নেমে এগারোটার ফাইনাল খেলে ফরাসি ওপেন-সহ ন’টা খেতাবই শুধু জেতেননি নাদাল। এ বছরই প্রথম বার দু’টো হার্ডকোর্ট মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ফ্লাশিং মেডোয় অভিযানে নামলেন হার্ডকোর্টে ১৫-০ অপরাজিত রেকর্ড নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের প্রথম রাউন্ডে রায়ান হ্যারিসনকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দেওয়ার পথে নষ্ট করলেন মাত্র আটটা গেম। ৬-৪, ৬-২, ৬-২।
হার্ডকোর্টে ১৬-০ এবং সব মিলিয়ে এ মরসুমে ৫৫-৩ জয়-হারের অসাধারণ পরিসংখ্যানের মালিক নাদাল ২০১১-র পর ফ্লাশিং মেডোয় প্রথম জিতে উঠে বলেন, “নিউইয়র্কে ফিরে আসতে পারাটা আমার কাছে একটা স্পেশ্যাল আবেগ। স্পেশ্যাল আবহ।” যে কারণে প্রথম ম্যাচে তিনি কিছুটা নার্ভাসও ছিলেন স্বীকার করে নিয়ে নাদাল বলেছেন, “এক বছর অনুপস্থিত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শুরু করার আগে খানিকটা নার্ভাস ছিলাম। তবে নার্ভাস থেকেও যদি ম্যাচ জেতা যায় তা হলে ব্যাপারটা খারাপ কিছু নয় ।”
অন্য দিকে, গতবারের মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসের এ বারের প্রথম রাউন্ড নিয়ে টেনিসমহল উদ্বিগ্ন ছিল। কারণ, প্রথম ম্যাচেই সেরেনা পড়ে গিয়েছিলেন এক প্রাক্তন গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নের সামনে। যেটা গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রায় বিরল ঘটনা। কিন্তু প্রাক্তন ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ল শিয়াভোনে কার্যত উড়ে গেলেন সেরেনার চিরাচরিত পাওয়ার টেনিসের কাছে। ১৩টা উইনারের পাশাপাশি ম্যাচে ছ’বার শিয়াভোনের সার্ভিস ভাঙেন সেরেনা। এক ঘণ্টার মধ্যে ৬-০, ৬-১ জেতার পর সেরেনা বলে দেন, “আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। জানতাম গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রথম ম্যাচেই একজন প্রাক্তন গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে খেলছি। সে জন্য সুপার সিরিয়াস ছিলাম। তাই একটু সহজে জিতেছি।” |