তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সম্মত হলেও, ত্রিপুরা ভেঙে ‘ত্রুইপাল্যান্ড’ তৈরির দাবির বিরোধী রাজ্য কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আশিস সাহা আজ জানান, ‘‘ত্রিপুরা ভেঙে নতুন রাজ্য গঠনের জন্য আইপিএফটি যে দাবি করছে তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।’’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর সম্প্রতি অভিযোগ করেন, আইপিএফটি-র দাবির সমর্থন করছে কংগ্রেসের নির্বাচনী জোটসঙ্গী আইএনপিটি।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে রাজনৈতিক প্রচারও চলছে। আইএনপিটি-র উৎস আইপিএফটি। ত্রিপুরা ভাগের জন্য ওই দু’টি সংগঠনকে পরোক্ষে ‘মদত’ দিচ্ছে কংগ্রেসই।
সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আশিসবাবু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিপিএম ওই কথা বলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকেই পৃথক রাজ্যের দাবি তুলতে পারে। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।”
‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ এবং ‘বিভেদকামী শক্তি’কে কংগ্রেস পরোক্ষে হলেও সাহায্য করছে বলে অভিযোগও খারিজ করেছেন আশিসবাবু। তিনি বলেছেন, “জাতীয় ঐক্য কী ভাবে অটুট রাখতে হয় কংগ্রেস জানে। সিপিএমের কাছ থেকে তা শিখতে হবে না।”
আইএনপিটি-র রাজ্য সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা বলেছেন, ‘‘ত্রুইপাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করি না। অমবাসা, তেলিয়ামুড়াতে ভিন্ন রাজ্যের দাবির সমর্থনে রাজনৈতিক প্রচারও আমরা করিনি।”
এ প্রসঙ্গে আত্মসমর্পণকারী এনএলএফটি-র জঙ্গিনেতা নয়নবাসী জামাতিয়ার কথা উল্লেখ করে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র অশোক সিন্হা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যে জঙ্গির বিরুদ্ধে দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার মামলা রয়েছে, রাজ্য পুলিশ তাকে কী করে ছেড়ে দিল?’’
তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় জঙ্গিদের সঙ্গে সিপিএমের রাজনৈতিক যোগাযোগই স্পষ্ট হয়েছে। চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিভেদকামী শক্তি’-র যোগাযোগ রয়েছে, রাজ্য সরকার তা প্রমাণ করতে পারলে ওই কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” অশোকবাবুর বক্তব্য, ত্রুইপাল্যান্ড-এর দাবিতে কংগ্রেসের পরোক্ষ মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সিপিএম। সিপিএম বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।
|