চিকিৎসার গাফিলতিতে ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা। পথ অবরোধও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম সহেলি পাত্র (১০)। তার বাড়ি বামাসন গ্রামে। সে স্থানীয় মালডাঙা কাদম্বিনী কালনা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ সহেলি সাইকেলে করে টিউশন নিতে যাচ্ছিল। মালডাঙা এলাকায় তার সাইকেলের গা ঘেঁসে একটি বালি বোঝাই গাড়ি চলে গেলে সে সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ও জ্ঞান হারায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে জ্ঞান ফেরায় ও মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। |
মৃতা ছাত্রীর বাবা সন্তোষ পাত্রের অভিযোগ, “মেয়েকে ভর্তির পর তাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গরম দুধ এনে দেখি মেয়ের কোনও সাড় নেই।” তাঁর অভিযোগ, “যখন মেয়েকে ভর্তি করা হয়, তখন তার অবস্থা খারাপ এমন কথা চিকিৎসকেরা জানাননি। সঠিক চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যু হয়েছে মেয়ের।”
ছাত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া রাস্তায় ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ চলে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রীর মৃত্যুর তদন্তের আশ্বাসের দাবি জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। আসেন কালনার মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মণ্ডল ও মন্তেশ্বরের বিডিও প্রদীপ কুমার বারুই। সুভাষবাবু বলেন, “ময়না-তদন্তে যদি চিকিৎসার গাফিলতি ধরা পড়ে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ছাত্রীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |