টুকরো খবর
ডায়েরিয়ার প্রকোপ কমেনি আসনবনিতে
দশ দিন কেটে গেলেও মানবাজার ব্লকের আসনবনি গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ এখনও কমেনি। বাসিন্দাদের দাবি, ডায়েরিয়ায় ওই গ্রামে অসুস্থের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সোমবারও দু’জন অসুস্থকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মানবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিং হাঁসদা বলেন, “ডায়েরিয়ায় অসুস্থ ওই গ্রামের রোগীরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করানোয় মোট কতজন অসুস্থ হয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে মানবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ৪০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে। ওই গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত যাচ্ছেন। ওষুধ দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” ওই গ্রামে ৮০টি আদিবাসী পরিবারের বাস। স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা সোরেন, অনিল হাঁসদা জানান, “প্রায় প্রতিটি ঘরেই ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে। আমরা সবে ওই রোগ থেকে উঠেছি। কিন্তু প্রতিদিন অসুস্থদের সংখ্যা বাড়ছে।” বিএমওএইচ বলেন, “ওই গ্রামে জমিতে ব্যবহার করা রাসায়নিক সার ও ওষুধ মিশ্রিত জল কুয়ো, নলকূপের জলে গিয়ে মিশে এই বিপত্তি। বাসিন্দাদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” ওই গ্রামের কাছেই পুঞ্চা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পুঞ্চার বিএমওএইচ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই গ্রাম থেকে প্রতি দিন দু’একজন করে রোগী এখানে ভর্তি হচ্ছেন।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ দাবি করেন, “ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে একেবারে নির্মূল করতে হলে ওই গ্রামে শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। বিডিও-র সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।” মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “ওই গ্রামে পানীয় জলের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি গভীর নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”

চিকিৎসককে জরিমানা
রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার দায়ে এক চিকিৎসককে ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করল কোচবিহার ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। মঙ্গলবার কোচবিহার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছে। ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১১ সালের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি তুফানগঞ্জের ভুরকুশ এলাকার বাসিন্দা শম্ভু দাস গলব্লাডার জনিত সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোচবিহার নতুন বাজার এলাকার একটি ল্যাবরেটরিতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করান। ওই ল্যাবরেটরি থেকে শম্ভুবাবুর রক্তের গ্রুপ এ-পজিটিভ বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। ওই বছরের ৮ মার্চ শম্ভুবাবু অস্ত্রোপচারের জন্য কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রক্তের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় সেই সময় জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালে ফের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করান শম্ভুবাবু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট দেয় শম্ভুবাবুর রক্তের গ্রুপ বি-পজিটিভ। ওই ঘটনার জেরে নিশ্চিত হতে তিনি আরও দুটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতেও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করান হয়। ওই দুটি ল্যাবরেটরিও তাকে রক্তের গ্রুপ বি-পজিটিভ বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি মামলা করেন শম্ভুবাবু।

হজযাত্রীদের ভ্যাকসিনে টান
হজে যেতে গেলে তীর্থযাত্রীদের একটি ভ্যাকসিন নিতে হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। তাঁর বক্তব্য, প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক ভ্যাকসিনও রাজ্যের হাতে নেই। পরে বিধানসভার বাইরে রেজ্জাক জানান, এ বছর ১১ হাজার তীর্থযাত্রী হজে যাবেন। কিন্তু রাজ্য হজ কমিটির হাতে পাঁচ হাজারের মতো ভ্যাকসিন রয়েছে। কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সঙ্গে রাজ্য হজ কমিটির সমন্বয়ের অভাবেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.