তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দুই পরিবারের কর্তার নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে জলপাইগুড়িতে চাঞ্চল্য ছড়াল। প্রথমে জলপাইগুড়ি পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত একজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন ওই হাসপাতালে এক চতুর্থ শ্রেণির মহিলা কর্মী। তিন ঘন্টা পরেও অভিযোগকারী মহিলার স্বামীর নামে একই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তের স্ত্রী। ২৫ অগস্ট রবিবার কোতোয়ালি থানায় দুটি অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “দুটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখছি।”
পুলিশ হাসপাতালের কনস্টেবলের নাম পরিমল সাহা। তিনি রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল হলেও কম্পাউন্ডারের কাজ করেন। ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগের পর পরিমলবাবুর স্ত্রীও অভিযোগকারী মহিলা কর্মীর স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁকে শ্লীলতাহানির পাল্টা অভিযোগ করেন। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল দাস বলেন, “দুজনের সঙ্গে কথা বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানিয়েছি।” হাসপাতালের ওই চতুর্থ শ্রেণির মহিলা কর্মীর অভিযোগ, গত ২১ অগস্ট দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁর হাসপাতালে ডিউটি ছিল। দুপুরে তিনি হাসপাতাল যান। সেখানে তখন পরিমলবাবু ছাড়া কেউ ছিলেন না। হঠাৎ পরিমলবাবু তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। অভিযোগকারী মহিলা বলেন, “পরিমলবাবু শাসিয়েছিলেন। ভয়ে সে দিন কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। পরেরদিন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারকে সব জানাই।” মহিলা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ২৫ অগস্ট জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় পরিমল সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ সূত্রের খবর, তার পরেই অভিযুক্ত পরিমলবাবুর স্ত্রী অভিযোগকারিণীর স্বামীর বিরুদ্ধে পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। সেখানে পরিমালবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার পর অভিযোগকারী মহিলা স্বামী-সহ কয়েক জনকে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। সেই সময় ওই মহিলার স্বামী তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। |