সন্ত্রাসবাদী বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনও সংগঠনের কোনও সদস্য আর রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পাবেন না। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই মর্মে একটি সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল কারেকশনাল সার্ভিসেস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৩’ নামে বিলটি এ দিন ৮৯-৩৯ ভোটে পাশ হয়। বিরোধী পক্ষের বক্তব্য, এর ফলে রাজনৈতিক বিরোধীদের জেলে ঢুকিয়ে সাধারণ কয়েদিদের মতো আচরণ করা হবে। এ দিনই বামফ্রন্টের বৈঠকে রাজনৈতিক বন্দিদের ভাতা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু পরে বলেন, “তেভাগা আন্দোলন থেকে জরুরি অবস্থা পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় রাজনৈতিক বন্দিদের সামান্য টাকা ভাতা দেওয়া হত। এই সরকার তা বন্ধ করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।”
পুরনো খবর: রাজনৈতিক বন্দির সংজ্ঞা বদলে বিল আনছে রাজ্য
|
বিভিন্ন জেলে বন্দিদের হাতে মদ, মাদক, মোবাইল, এমনকী ল্যাপটপ পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। সংবাদপত্রে এই খবর দেখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কী ভাবে জেলে ওই সব জিনিস পৌঁছচ্ছে, সেই ব্যাপারে তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের মন্তব্য-সহ তদন্ত রিপোর্ট কমিশনে পেশ করতে হবে স্বরাষ্ট্রসচিবকে। জেল-কর্তৃপক্ষকেও এই ধরনের ঘটনার তদন্ত করে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন।
|
পঞ্চায়েতেও সিপিএমের দাদাগিরির দিন শেষ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি পারিচালনা করতে নিচুতলাতেও বামফ্রন্টের কমিটি গঠন করা হবে। মঙ্গলবার রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ করেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার। অন্য শরিক দলের নেতারা তাঁকে সমর্থন করেন। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু নীতিগত ভাবে এ ব্যাপারে এক মত। অবশ্য তিনি জানান, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হবে। শরিক দলের এক নেতার কথায়, “তৃণমূলের জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে টিকে থাকতে হলে নিচু তলায় বামফ্রন্ট কমিটি গঠন করতেই হবে।” এ দিনই ১১তম শরিক হিসাবে বলশেভিক পার্টি বামফ্রন্টে যোগ দিয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর, রবিবার কলকাতায় ধর্মতলা থেকে উত্তর কলকাতার দেশবন্ধু পার্ক পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিল করবে বামেরা।
|
রাজ্যের ১২টি পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থের মামলাটি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, এটা এই মামলা দায়ের করার ঠিক সময় নয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় হাইকোর্ট আগাম কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। |