আগের বার হয়েছিল এক দিন। এ বার বিধানসভার অধিবেশন শেষ হয়ে গেল দু’দিনে! দু’দফায় বর্ধিত বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ দাঁড়াল মাত্র তিন দিন! স্বাস্থ্য ছাড়া বাকি সব দফতরের বাজেট-বিতর্ক আগেই গিলোটিনে গিয়েছে। এ বার দু’দিনে পাশ হল পাঁচটি বিল। যাবতীয় মুলতবি প্রস্তাব খারিজ। বিধানসভার লাগাতার এমন গুরুত্বহ্রাসে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।
দ্বিতীয় দফায় বর্ধিত বাজেট অধিবেশন তিন দিন চলবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বিরোধীদের জানানো হয়, এ দিনই অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের মুলতবি করা হচ্ছে। রাজ্যের নানা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিধায়কদের সেখানে উপস্থিত থাকা দরকার। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়াতেও তাঁদের ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও চলে যাচ্ছেন বিদেশে। সরকার পক্ষের বক্তব্য, তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পক্ষান্তরে বাম ও কংগ্রেস বিধায়কদের অভিযোগ, টাকা খরচ করে কখনও এক দিন, কখনও দু’দিনের অধিবেশন বসিয়ে ‘প্রহসন’ হচ্ছে! তাতে গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্থা, দুয়েরই মর্যাদাহানি হচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ দিন ফের বিভ্রান্তি ডেকে এনেছেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। তাতে অস্বস্তিতে শাসক শিবিরই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব আনতে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার অনুমতি স্পিকার না দেওয়ায় সাময়িক ওয়াকআউট করেন বাম বিধায়কেরা। পরে সূর্যবাবু বলেন, “একে তো স্বল্পকালীন অধিবেশন। বিধানসভার ভিতরে বিরোধীদের আলোচনার সুযোগ দিতেও সরকার নারাজ!”
কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে বিধানসভায় বলতে চেয়ে প্রথমে অনুমতি পাননি মানস ভুঁইয়া। কংগ্রেস বিধায়কদের প্রতিবাদের জেরে স্পিকার শেষ পর্যন্ত তাঁকে অনুমতি দিলেও বক্তব্য শেষ করতে পারেননি মানসবাবু। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাতে চেয়েছিলাম, খাদ্য সুরক্ষার সুযোগ-সুবিধা ঠিক ভাবে যাতে পশ্চিমবঙ্গে কাজে লাগানো হয়। কারণ এই প্রকল্পে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ অল্প টাকায় চাল-গম পাবেন।” |