শাসক দলের সমর্থক তিন সহকারী শিক্ষক তাঁকে ক্রমাগত হেনস্থা করতে থাকায় স্কুল চালানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন প্রধান শিক্ষক।
বিচারপতি জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন, ওই স্কুল যাতে ঠিকমতো চলে, তার জন্য সক্রিয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধান শিক্ষক যাতে স্কুলে যোগ দিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে ওসি-কে।
ঘটনাটি বাঁকুড়ার খাতড়া হাইস্কুলের। সেখানকার প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন হাজরা হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে বলেছেন, তিনি স্কুলে যেতে পারছেন না। সুবীর মণ্ডল, পার্থসারথি গড়াই ও গুণধর ঘোষ নামে তিন শিক্ষক ২০১২ সাল থেকে তাঁকে নাকাল করে চলেছেন। তাঁরা স্কুলের নিয়মকানুন মানেন না, ক্লাসে যান না। উল্টে স্কুল চালানোর কাজে নানা ভাবে অসহযোগিতা করেন। পরিচালন সমিতি ও জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। শাসক দলের সমর্থক ওই তিন শিক্ষক পরিচালন সমিতির কাছে পাল্টা অভিযোগ করেছেন, প্রধান শিক্ষক সিপিএমের হার্মাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বাধ্য হয়েই প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত প্রথমে ডিআইজি (সিআইডি) এবং পরে আইজি (সিআইডি)-কে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন। আইজি (সিআইডি) মঙ্গলবার রিপোর্ট পেশ করে জানান, প্রাথমিক ভাবে ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হচ্ছে। কাল, বৃহস্পতিবার থেকেই প্রধান শিক্ষক যাতে স্কুলে গিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শক ও খাতড়া থানার ওসি-কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। |