|
|
|
|
সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান |
পূর্বে সভাধিপতি হলেন মধুরিমাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত আসন হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে যে নতুন মুখ আসছে, তা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। রদবদল হল সহ-সভাধিপতি পদেও। মঙ্গলবার কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচটি জেলা পরিষদের জয়ী সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার পরে পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন সভাধিপতি হিসাবে মধুরিমা মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেন। সহ-সভাধিপতি হচ্ছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত কর্মাধক্ষ্য শেখ সুফিয়ান। আর বিদায়ী সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন
এ বার জেলা পরিষদের নতুন দলনেতা হচ্ছেন।
২০০৮ সাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। আগের দফায় প্রথম তিন বছর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে ছিলেন রণজিত্ মণ্ডল। গত বিধানসভা নির্বাচনে খেজুরি বিধানসভা থেকে রণজিত্বাবু বিধায়ক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন গান্ধী হাজরা। গান্ধীবাবু এ বার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হননি। হলেও তফসিলি মহিলা সংরক্ষিত সভাধিপতি পদে বসতে পারতেন না তিনি। ওই পদে কে বসবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। কাঁথির মধুরিমা মণ্ডল ছাড়াও তালিকায় ছিলেন খেজুরির মেঘমালা দাস, সুতপা মণ্ডল (খাটুয়া) ও ময়নার মামনি মনি।
তবে, দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন মধুরিমাদেবীই। কাঁথি থেকে এর আগের বারও জেলা পরিষদে জিতেছিলেন তিনি। এক দশক ধরে জেলা পরিষদের কাজকর্ম দেখছেন। শুধু তাই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী হিসাবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আদতে খেজুরির মেয়ে মধুরিমাদেবী বড় হয়েছেন রাজনীতির অলিন্দে। স্নাতকোত্তর পাশ হওয়ায় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার জায়গা ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা, ‘অধিকারী পরিবারের’ ঘনিষ্ঠ। মঙ্গলবার কলকাতায় জেলা তৃণমূলের দুই কাণ্ডারী শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে মধুরিমা মণ্ডলের নাম ঘোষণা করেন।
এ দিকে, সভাধিপতি পদে মাঝে বদল ঘটলেও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি হিসাবে গত পাঁচ বছর ছিলেন মামুদ হোসেন। জেলা পরিষদের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে তাঁর মতামতের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। গত পাঁচ বছর ধরে জেলা পরিষদে সবচেয়ে বেশি প্রচারের আলোয় ছিলেন কাঁথির বনমালিচট্টা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেন। এ বার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসাবে জেতার পরেও তাঁর জায়গায় সহ-সভাধিপতি হিসাবে দলনেত্রী শেখ সুফিয়ানের নাম ঘোষণা করায় বিস্মিত রাজনৈতিক মহল। যদিও দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মামুদ হোসেন।
অন্য দিকে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শেখ সুফিয়ান গতবার জেলা পরিষদে জিতে পূর্ত কর্মাধক্ষ্যের পদ ছাড়াও তৃণমূলের দলনেতার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন। এ বার সহ-সভাধিপতি পদে তাঁর মনোনয়নকে পদোন্নতি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। সুফিয়ান বলেন, ‘‘দলনেত্রী যে নতুন দ্বায়িত্ব দিয়েছেন, তা পেয়ে আমি খুশি। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই ।” |
|
|
|
|
|