|
|
|
|
দেওঘরে গণপিটুনিতে মৃত্যু আজসু নেতার, প্রতিবাদে বন্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
গণপিটুনিতে মৃত্যু হল ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ (আজসু) সংগঠনের এক নেতা এবং তাঁর গাড়ির চালকের। আজ ঘটনাটি ঘটে দেওঘরের জসিডিতে। প্রতিবাদে বুধবার সাঁওতাল পরগনায় বন্ধ ডাকা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে একটি মাঠ থেকে মুকেশকুমার সিংহ (৩৫) এবং সোনু সিংহের (৩৫) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মুকেশ আজসু-র দেওঘর জেলার সভাপতি এবং বরগনিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। তাঁর গাড়ির চালক ছিলেন সোনু। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, লোহার রড, চেন, লাঠি দিয়ে মুকেশ, সোনুকে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
পুলিশের বক্তব্য, গ্রামবাসীদের একাংশ তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালাচ্ছিল গাড়িটি। রাস্তার লোকজন সেটিকে ধাওয়া করে। গাড়ি ফেলে পালাতে থাকেন মুকেশ, সোনু। তখনই তাঁদের ধরে ফেলে মারধর করা হয়। একইসঙ্গে আরও দু’টি সূত্রও পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মাওবাদী সন্দেহেও মুকেশদের উপর হামলা হতে পারে। ঘটনার পিছনে থাকতে পারে রাজনৈতিক শত্রুতাও।
ওই ঘটনার জেরে দেওঘরের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায় আজসু। পথ-অবরোধ করা হয়। আজসু কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জোনাথন টুডু বলেছেন, “রাজনৈতিক বিরোধেই মুকেশদের খুন করা হয়েছে। অপরাধীরা গ্রেফতার না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
দলীয় মুখপাত্র দেবশরণ ভগত জানান, ২৪ এবং ২৫ অগস্ট গিরিডিতে আজসু-র একটি সম্মেলন ছিল। সেখান থেকেই গাড়িতে ফিরছিলেন ওই দু’জন। তাঁর অভিযোগ, নতুন সরকার তৈরির পর রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলেও দেবশরণবাবু দাবি করেছেন। আজই ধানবাদের নিরসায় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের স্থানীয় গ্রামবাসীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|