|
|
|
|
মাসুল বাড়ার ইঙ্গিত দিলেন অধীর, ছাড় যাত্রী ভাড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ডিজেলের দাম বাড়ায় পণ্যমাসুল বাড়াতে চলেছে রেল মন্ত্রক। কিন্তু ভোটবাক্সের দিকে তাকিয়ে ভাড়া বাড়াতে নারাজ তারা। আজ দিল্লিতে বণিকসভার অনুষ্ঠানে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “এই পরিস্থিতিতে যে ভাবে ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে অক্টোবর থেকে মাসুল বাড়তে পারে।”
মাসুল কতটা বাড়বে সে ব্যাপারে সুপারিশ অবশ্য করবে রেলওয়ে ট্যারিফ অথরিটি। ডিজেলের দামের ওড়াপড়ার সঙ্গে পণ্যমাসুল ও যাত্রী ভাড়া কী ভাবে কমানো-বাড়ানো উচিত সে ব্যাপারে মন্ত্রককে পরামর্শ দিতে সম্প্রতি এই কমিটি গঠিত হয়েছে। এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত চার বারে প্রায় তিন টাকা দাম বেড়েছে ডিজেলের। অক্টোবরে কমিটি যে রিপোর্ট দেবে, তাতে মাসুল বৃদ্ধির সুপারিশ থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সঙ্গে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ এলে তা মানার যে সম্ভাবনা নেই, স্পষ্ট করেছেন অধীর। পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও আগামী বছরের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সরকার যে সেই ঝুঁকি নেবে না, তাতে নিশ্চিত সব পক্ষই।
অথচ যাত্রী ভাড়াকে ছাড় দিয়ে শুধু পণ্যমাসুল বাড়ালে যে ঘাটতি সামাল দেওয়া অসম্ভব, তা কবুল করছেন রেলের কর্তারাই। জানান, ৬৫ হাজার কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৪৫ হাজার কিলোমিটারে ডিজেল ইঞ্জিন চলে। ডিজেলের দাম লিটারে এক টাকা বাড়লে বছরে খরচ বাড়ে ২৫০ কোটি টাকা। ফলে এপ্রিল থেকে তিন টাকা দাম বাড়ায় রেলের ঘাড়ে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার বাড়তি বোঝা চাপছে। জনমোহিনী হতে গিয়ে চলতি বছরে যাত্রী ভাড়ায় ক্ষতির পরিমাণও ২৫ হাজার কোটি টাকা ছোঁবে বলে জানাচ্ছে রেল মন্ত্রকের পরিসংখ্যান।
পণ্যমাসুল বৃদ্ধির অন্য অসুবিধাও আছে। প্রথমত, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সম্ভাবনা। সিমেন্ট, লোহা থেকে শুরু করে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় বহু জিনিস মূলত রেলই বহন করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দাম বৃদ্ধির চাপ কতটা সহনীয় হবে, তা নিয়ে সংশয়ী অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিপদ বাড়বে রেলেরও। এর আগে এপ্রিলে সাড়ে পাঁচ শতাংশ পণ্যমাসুল বাড়িয়েছিল তারা। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “নিয়মিত ভাবে মাসুল বাড়ায় রেলে পণ্য পরিবহণ কমছে। কারণ, সড়কপথে পরিবহণ তুলনায় সস্তা। ফলে বাধ্য হয়েই চলতি বছরে পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হয়েছে। মাসুল ফের বাড়লে সেই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করা যাবে কিনা সন্দেহ।”
|
|
|
|
|
|