দু’টি পুকুরে বছর দুয়েক আগে চারা ছাড়া হয়েছিল। তার পরে পুকুরে আর ছিপ ফেলতে দেওয়া হয়নি। দু’বছরে ২ থেকে ৩ কেজির আকার নিয়েছে সেগুলি। এমন পুকুরে যে কোনও মাছ-শিকারি ছিপ ফেলতে চাইবেনই।
মালবাজার ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মৎস্য দফতরের আরণ্যক পর্যটক আবাসে, বেনফিসের দুটি পুকুরে গত ১৫ অগস্ট থেকে টানা ৬ মাস মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দফতর জানিয়েছে, প্রতি ২ বছর অন্তর এই সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১১ সালে শেষ বার মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার পরে দুটি পুকুরে একশো করে দুশো কেজি চারাপোনা ছাড়ে মৎস্য দফতর। মৎস্য দফতরের উত্তরবঙ্গের বিশেষ আধিকারিক সুখেন্দু সরকার বলেন, “মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পর্যটন বিকাশ ঘটছে কুমলাইতে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুর দুয়ার থেকেও মাছ ধরতে চলে আসেন অনেকে। এই বাবদ আয়ের অধিকাংশ অর্থ কুমলাই পর্যটন কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্যেই ব্যায় করা হয়।”
উত্তরবঙ্গে শুধুমাত্র মালবাজারের আরণ্যক পর্যটক আবাসেই বেনফিসের মাছ চাষ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। মালবাজারে ৬ বিঘা ও ৫ বিঘা আয়তনের দুটি পুকুরের পাশেই মৎস্য দফতরের পর্যটক আবাস। মাছ ধরার অনুমতির কথা চাউর হতেই পর্যটক আবাসের ৮টি ঘরের সবকটি বুকিং হয়ে গিয়েছে। আরণ্যকের ম্যানেজার পরিমল রায় বলেন, “৫০০ টাকায় দুটি ছিপ বা হুইল নিয়ে মাছ ধরার অনুমতি পাবেন। এর আগে ২০১১ সালে অগস্ট থেকে ৬ মাস মাছ ধরতে দেওয়া হয়েছিল। সে বার টিকিট ছিল ৩০০ টাকা।” ২০১১ সালে মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছিল। দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পুকুরে মাছ ছাড়ার পর, বড় হওয়ার সময় দিতেই দু’বছর বিরতি দেওয়া হয়। মাছ ধরা শুরুর আগে মাছগুলি বড় হয়েছে কিনা দেখে নেন মৎস্য দফতরের কর্মীরা। পরিমলবাবু বলেন, “এবার গড়ে ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। কাজেই টিকিটের দর বাড়লেও মৎস্য শিকারিরা গত বারের থেকেও বেশি মাছ পাবেন।” |
