পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পরে ঘুরে গিয়েছে এক সপ্তাহ। তবু এখনও উপপ্রধান হিসেবে কেউ নির্বাচিত হলেন না বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতে। কারণ, উপপ্রধান পদটি তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। অথচ পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসা তৃণমূলে তফসিলি উপজাতির কোনও পঞ্চায়েত সদস্য নেই। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী অন্য দল থেকে কোনও সদস্যের উপপ্রধান হওয়ার কথা। কিন্তু বিরোধী সিপিএমের সাফ কথা, ক্ষমতায় না আসায় পঞ্চায়েত পরিচালন সমিতিতে তাদের কেউ থাকবে না। এই অবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
দেবশালার ১৪টি আসনের মধ্যে ৮টি জিতে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। সিপিএম জিতেছে বাকি ৬টি আসনে। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন দেবশালা গ্রামের তৃণমূল সদস্য শ্যামল বক্সি। কিন্তু ঘোঁট পেকেছে উপপ্রধানের পদটি নিয়ে। পদটি তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, তাঁদের যে দু’জন তফসিলি উপজাতির প্রার্থী ছিলেন, তাঁরা কেউই এ বার জিততে পারেননি।
প্রধান শ্যামলবাবু জানান, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন বিরোধী কোনও সদস্যই আসেননি। তাঁরা এলে উপপ্রধান পদ নিয়ে আলোচনা করা হতো। কিন্তু তা না হওয়ায় উপপ্রধানের পদটি আপাতত ফাঁকা পড়ে আছে। তিনি আরও জানান, উপপ্রধান নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনও সাংবিধানিক অসুবিধার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে তাঁরা ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই পঞ্চায়েতের কাজ যেন বিঘ্নিত না হয়। সিপিএমের কোনও সদস্য উপপ্রধান হলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমরা সব দিক থেকে তাঁকে সাহায্য করব।” তা না হলে এ ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিপিএমের গুসকরা জোনাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদার জানান, দলের রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত মেনেই তাঁরা তৃণমূলের বোর্ডে কোনও পদ নেবেন না। দেবশালাতেও তাঁদের সদস্যেরা বিরোধী আসনেই থাকবেন। আউশগ্রাম ২ বিডিও সনাতন সেন বলেন, “জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। যা নির্দেশ দেওয়া হবে, তেমনই কাজ হবে।” |