নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অস্থায়ী কর্মীর মৃত্যুতে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির মামলার শুনানির দিন পিছোল। সোমবার ধৃত বাস্তুকার এবং একাধিক ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ছিল শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে। বার অ্যাসোসিয়েশনের অস্থায়ী কর্মী কুমার ছেত্রীর মৃত্যুতে আইনজীবীরা এ দিন কাজ করেননি। তাতে আদালতে কোনও শুনানি হয়নি। এসজেডিএ’র বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকারকে এজলাসে তোলা হয়। অন্যান্যদের অবশ্য আদালতে আনা হলেও এজলাসে তোলা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কেয়া মণ্ডল ৫ সেপ্টেম্বর পরের শুনানির দিন নির্ধারিত করেছেন। সেই মতো মৃগাঙ্কবাবু-সহ সকলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মৃগাঙ্কবাবু ছাড়া এ দিন আদালতে হাজির করানো হয় এসজেডিএ’র বাস্তুকার সপ্তর্ষি পাল, ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পাল, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছেলে দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, অজয় মৈত্র, তাপস বসুকে। তবে তাদের এজলাসে তোলা হয়নি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া বলেন, “এ দিন আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে কেস ডায়েরি পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে শুনানি না হওয়ায় তা পেশ হয়নি। তাতে ধৃতদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন পেশ করতে পারেননি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এসজেডিএ’র বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে ওই ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহানন্দ্যা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরির কাজ, বাগডোগরা, মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্প। ওই ৭ জন ছাড়াও রয়েছেন এসজেডিএ’র আরেক বাস্তুকার প্রবীণ কুমার এবং অজিতবাবুর কলকাতার ঠিকাদার সংস্থা ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর কর্মী অমলকৃষ্ণ সাহা। তা ছাড়া এসজেডিএ তরফে শহরে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে এম এস কোম্পানিজের কর্ণধার সুব্রত দত্তকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা জেল হাজতে রয়েছেন।
|