ছোটদের নিয়ে এ বার মিছিল করবে মোর্চা
সুখিয়াপোখরি থানায় রেশন পড়ে থাকলেও নিতে যাননি বাসিন্দারা। ছবি: রেজা প্রধান।
মোর্চা সুর চড়ালেও রাজ্য কিন্তু আগামী ৪ সেপ্টেম্বর জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ নির্বাচনের পরে পাহাড়ে শান্তি ফিরবে বলে আশায় রয়েছে। ওই নির্বাচনের জন্য ধৃত মোর্চা নেতারা জামিনের আবেদন করলে রাজ্য তার বিরোধিতা করবে না, এ কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে থেকেই প্রধান কার্যনির্বাহীকে নির্বাচন করতে হবে এমনও বলেছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে গুরুঙ্গরই ফের ওই পদে ফিরে আসার পথ খোলা রেখে দেওয়া হয়েছে। এ দিন মহাকরণে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও বলেন, “জিটিএ চিফ নির্বাচন হয়ে গেলে পাহাড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।” কিন্তু রাজ্য নরম মনোভাব দেখানোর পরেও মোর্চা যে শর্ত দিচ্ছে তাতে ফের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে কি না সেই প্রসঙ্গে গৌতমবাবুর মন্তব্য, “প্রয়োজনে রাজ্য সরকার কতটা কড়া পদক্ষেপ করতে পারে তা সম্প্রতি পাহাড়বাসী দেখেছেন। আমরা বিপন্ন পাহাড়বাসীর কাছে রসদ, আনাজ পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু করেছি। তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হলেও ধীরে ধীরে মানুষ ভয় উপেক্ষা করে বেরোচ্ছেন। আশা করব, আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য করবেন না মোর্চা নেতারা।”
দার্জিলিং জেলা পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, মোর্চা চাইলেও খুব কম বয়সীদের নিয়ে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল জানান, স্কুল থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে যাতে মিছিল না হয়, সেই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের যে রায় রয়েছে তা-ও মাথায় রাখা হয়েছে।
মোর্চার ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সঞ্জিত ছেত্রী এ দিন অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা জবরদস্তি করে অল্প বয়সীদের মিছিলে আনবেন না। সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, “আমরা হাইকোর্টের রায়কে সম্মান করি। আমাদের সভাপতি চান, ছোট থেকেই সকলে নিজেদের জাতিসত্তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোক। তা বলে আমরা কাউকে জোর করে আনব না।”
তবে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার উদ্যোগে পাহাড়ে ৬টি দলের যে গোর্খাল্যান্ড জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি তৈরি হয়েছে, তার অন্যতম শরিক অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি গুরুঙ্গের ওই নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা ছোটদের দিয়ে মিছিলের কর্মসূচি মেনে নিতে পারছি না।” তাঁর বরং দাবি, “আমরা চাই বন্ধ বহাল রাখা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ছাড় দেওয়া হোক।” একই দাবি করেছেন ওই কমিটির চেয়ারম্যান এনোস দাস প্রধানও। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, “বাবা-মা যদি বাচ্চাদের নিয়ে মিছিলে অংশ নেন, তা হলে আমার কিছু বলার থাকে না।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.