নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ছোটবেলা থেকেই প্রায় সর্বদা একসঙ্গে দেখা যেত দুই বান্ধবীকে। বাকি জীবনও তাঁরা এক সঙ্গেই থাকতে চান। সে কারণে দুই বান্ধবীর এক জন বিয়ের চার মাস পরে স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। তার পরে দুই বান্ধবী পালিয়ে দিল্লি চলে যান। দুই বাড়ির লোকজন শেষ পর্যন্ত তাঁদের ফিরিয়ে আনার পরে দুই তরুণীই জানিয়েছেন, তাঁরা পরস্পরের সঙ্গেই থাকতে চান।
কিন্তু দুই সাবালিকা নারীর এই সিদ্ধান্ত তাঁদের আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শিরা মানতে চাননি। এলাকায় তা নিয়ে উত্তেজনাও ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশ-প্রশাসনকেও। সোমবার সকালে পুলিশ দুই তরুণীকে নিয়ে শিলিগুড়ির মহকুমাশাসকের আদালতে হাজির করায়। মহকুমাশাসক দু’জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হীরক রায় ওই দুই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “তাঁরা দু’জনেই সাবালিকা। নিজেদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারেন। তবে বাড়ির লোকের কাছেই সব থেকে নিরাপদ বলে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।” তবে যাওয়ার সময়েও ওই দুই তরুণী তাঁকে বলেছেন, ভবিষ্যতে এক সঙ্গেই থাকতে চান তাঁরা।
ওই দুই তরুণী প্রশাসনকে জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কোনও ভাবেই তাঁরা আলাদা থাকতে পারবেন না, সে কথা ভেবেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দু’জনেরই বয়স ২২। দু’জনেই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। এক জনের বাবা ব্যবসায়ী। অন্য জনের বাবা দিনমজুর। ওই দু’জনকে ২১ অগস্ট থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখনই বাড়ির লোকজনের তরফে ফাঁসিদেওয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরে খবর পাওয়া যায়, দুই তরুণী দিল্লিতে রয়েছেন। তখন আত্মীস্বজনেরাই তাঁদের দিল্লি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিডিও বীরুপাক্ষ মিত্র বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যেন কোন রকম অশান্তি না ছড়ায় সে দিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।”
ওই বিবাহিতার স্বামী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্ত্রী’র সঙ্গে আর থাকতে চান না। তবে দিনমজুর পরিবারের তরুণীর বাড়ির লোকজন জানান, ওই ঘটনায় তাঁরা চরম
বিপাকে পড়েছেন। |