|
|
|
|
নিহতদের পরিজনদের চাকরির দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের চাকরির দাবিতে সরব হল মাওবাদী হানায় নিহতদের পরিজনেরা। তাদের বক্তব্য, যে সব মাওবাদী খুন করল, তারা পুলিশে চাকরি পেয়েছে। অথচ, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি পাচ্ছেন না। এই মর্মে সোমবার ‘মাওবাদী হামলায় নিহত পরিবার কল্যাণ সমিতি’র ঝাড়গ্রাম ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারিকে দাবিপত্র পেশ করা হয়। পরে কমিটির পক্ষে মন্মথ মাহাতো বলেন, “আমাদের সমস্যার কথা শুনে জেলাশাসক দাবিপত্র রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” দাবি আদায়ের জন্য আগামী দিনে মহাকরণে গিয়েও দরবার করবে সমিতি।
|
জেলাশাসকের দফতরে নিহতের পরিবারের লোকেরা। —নিজস্ব চিত্র। |
গত দু’বছরে জঙ্গলমহলে পরিস্থিতি পাল্টেছে। রাজ্যে পালাবদলের পর বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতানেত্রী আত্মসমর্পণও করেছেন। তাঁদের পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে খুন হন জলধর মাহাতো। তাঁর ছেলে হরিপদর বক্তব্য, “সরকার একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে ভাল হয়। মুখ্যমন্ত্রী তো চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।”
জেলাশাসকের কাছে পেশ করা ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— মাওবাদী হামলায় নিহত পরিবারের সদস্যদের চাকরি, দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে পদক্ষেপ প্রভৃতি। এ দিন জেলাশাসকের দফতরে এসেছিলেন দুর্গা মাহাতো, ছায়ারানি মাহাতো, পুষ্প মাহাতোরা। এঁদের পরিবারের কেউ না কেউ মাওবাদী হানায় মারা গিয়েছেন। মাওবাদী হামলায় সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ায় ২০০৯ সালে মাওবাদী হানায় মৃত্যু হয়েছিল ১৩৩ জনের। ২-১০ সালে ২০৯ জনের। ২০১১ সালে ৩৯ জনের। তবে ২০১২ এবং চলতি বছর এখনও পর্যন্ত মাওবাদী হানায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি।
|
পুরনো খবর: চাকরি চাইছেন জঙ্গলমহলের স্বজনহারারা |
|
|
|
|
|