|
|
|
|
বাঁধ দেখছে পুলিশ, ফাঁকা লক-আপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ভরা বর্ষায় হাঁটু জলে নাকানি-চোবানি খাচ্ছে ঘাটাল। চারদিকে জল। চোরেদের বাড়িতে জল, যেখানে চুরি করবে সেখানেও জল। অগত্যা চুরি-চামারি বন্ধ। জলে ডুবে বন্ধ মদের ভাটিও। পুলিশরা চোর-দুষ্কৃতীদের ধরার বদলে বাঁধগুলি তদারকি করছে। ঘাটাল মহকুমার তিনটি থানা এবং চারটি ফাঁড়িতে ঝুপ করে কমে গিয়েছে অভিযোগের সংখ্যা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডিএসপি (ক্রাইম) দেবজ্যোতি চক্রবর্তী মেনে নেন, “মহকুমার তিনটি থানাতে এই মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় মামলা অনেক কম হয়েছে।” |
ঘাটালে এখনও নৌকাই ভরসা |
ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা বাদে বাকি ঘাটাল এবং দাসপুর থানাতে এখনও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শুধু প্রধান সড়কই নয়, থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যাওয়ার রাস্তাও জলের তলায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। লোকজন কাজে বেরোতে পারছেন না। সাধারণ মানুষের মতো জলে ঘরবন্দি চোর-ডাকাত-দুষ্কৃতীরা। স্বাভাবিক ভাবেই চুরি-ডাকাতির মামলা হচ্ছে না। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফি মাসে ঘাটালের তিনটি থানাতে গড়ে ৩০-৪০টি মামলা হয়। এর মধ্যে ছোটখাটো চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং যেমন রয়েছে তেমনই মারপিট, রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলাও রয়েছে। কিন্তু চলতি মাসের ২৬ তারিখ হতে চলল ঘাটাল, দাসপুর এবং চন্দ্রকোনা থানায় গড়ে মামলা হয়েছে ১০-১৫টি। |
জল-যন্ত্রণা। জলমগ্ন ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের ২ নম্বর
চাতালে নৌকায় করে নিয়ে এসে প্রসূতিকে তোলা হচ্ছে গাড়িতে। |
তিনটি থানারই লক-আপ প্রায় ফাঁকা পড়ে। আগে অভিযান চালিয়ে বেআইনি মদের দোকান কিংবা রাস্তাঘাট থেকে পুলিশ দিনে ৭-১০ জন মাতালকে ধরত। গণ্ডগোল, ঝামেলার জন্যও ধরা পড়ত কিছু। তাতেই লক-আপ ভরে যেত। এই বৃষ্টিতে মদের ভাটিগুলো বন্ধ থাকায় মাতালদের উৎপাত কমেছে। হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ঝগড়াঝাটিই বা করবে কে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পুরনো মামলায় অভিযুক্ত অনেক আসামী এখন ঘরে আছে। আমরা খবরও পাচ্ছি। কিন্তু যাব কী ভাবে? সব রাস্তাতেই তো জল।”
|
—নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|