|
|
|
|
তৈরি হল মোদীর জমি, দাবি সঙ্ঘের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
উত্তরপ্রদেশে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম নির্বাচনী প্রচারের আগে অযোধ্যা বিবাদ জমি তৈরি করে রাখল বলেই মনে করছে সঙ্ঘ পরিবার।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি উত্তরপ্রদেশে প্রথম সভা করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। বৃন্দাবন, মথুরা দিয়ে তিনি তাঁর যাত্রা শুরু করতে পারেন। তার আগে অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যাত্রা ও অখিলেশ যাদব সরকারের তা প্রতিহত করার চেষ্টার মাধ্যমে হিন্দু আবেগকে জাগানোর কাজ শুরু করা গিয়েছে বলে মনে করছে সঙ্ঘ পরিবার। উত্তরপ্রদেশে এই যাত্রাভঙ্গ হলেও তার রেশ যাতে না মেটে, সে জন্য যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-বজরং দল। সংসদ উত্তাল হয়। দিল্লিতে ভাঙচুর হয় সপা-র দফতর।
সঙ্ঘ সূত্রের মতে, মোদীর উপস্থিতিই হিন্দু আবেগকে জাগানোর জন্য যথেষ্ট। তাই তাঁর সফরের আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হিন্দু আবেগ উস্কে দেওয়ার জমি করে রাখল। মুলায়ম সিংহ যাদবও এই যাত্রাকে ঠেকিয়ে সংখ্যালঘু ভোট টানার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু বিজেপি নেতারা এই বিষয়ে খুব বেশি নাক গলাতে চান না। তাই সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলির মতো নেতারা বেশি সরব হননি। লোকসভায় যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যসভায় বিনয় কাটিয়ারের মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতাদের দিয়েই মুলায়ম সিংহ ও অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে বলানো হয়েছে। সুষমা যখন মুম্বইয়ের গণধর্ষণ নিয়ে সরব হয়েছেন, অযোধ্যা-বিতর্কের সময় টুঁ শব্দটি করেননি।
বিজেপির একটি অংশের মতে, এক সময়ে রামমন্দির আন্দোলনকে উস্কে দিয়েই উত্তরপ্রদেশে আশিটির মধ্যে প্রায় ষাটটির মতো আসনের কাছাকাছি পৌঁছেছিল বিজেপি। তা এখন নেমেছে দশে। তাঁদের প্রশ্ন, সেই হিন্দু আবেগকে এ ভাবে ফের জাগানো সম্ভব কি না? অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পূজারী আচার্য সত্যেন্দ্রও মনে করেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নিজেদের স্বার্থেই এই যাত্রা করছে। এটি রাজনৈতিক যাত্রা।
|
পুরনো খবর: মোদীর হয়ে দলকে চাপ জেটলির |
|
|
|
|
|