|
|
|
|
সনিয়া-রাহুলকে তুষ্ট করেই মিলেছে গদি, দাবি মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
নিজের দফতর নিয়ে সন্তুষ্ট নন ঝাড়খণ্ডের ওই কংগ্রেসি মন্ত্রী। দলের কর্মিসভায় ক্ষোভ জানাতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেললেন হেমন্ত সোরেন সরকারের কৃষিমন্ত্রী যোগেন্দ্র সাহু।
রবিবার রাতে রাঁচিতে কংগ্রেস কর্মিসভায় হাজির ছিলেন যোগেন্দ্র। দলে থাকতে হলে কর্মীদের কী করতে হবে তা নিয়ে বলতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতিতে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ---সবই করতে হয়।”
কী ভাবে? মন্ত্রীর কথায়, “মন্ত্রীদের তালিকায় আমার নামই ছিল না। ১৫ দিন ধরে দিল্লিতে বসে থেকেছি। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, আহমেদ পটেল পর্যন্ত ‘লবি’ করতে হয়েছে। কী কী করেছি তা বলছি না।”
ক্যামেরা-বন্দি হয়েছে যোগেন্দ্রের সব কথাই। এখানেই শেষ নয়। তিনি বলেছেন, “আমি কৃষকের ছেলে। সে কারণেই আমাকে কৃষিমন্ত্রী করা হয়েছে। কিন্তু আমি আরও দফতর চাই। কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না---আমি জানি কী ভাবে ছিনিয়ে নিতে হয়।”
হাজারিবাগের বরকাগাঁও-এর কংগ্রেস বিধায়কের ওই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। তাঁর উপর ক্ষুব্ধ রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। জবাবদিহি তলব করা হয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “তোষামোদ করলেই কংগ্রেসে সব পাওয়া যায়--এ ধরনের মন্তব্য দলের পক্ষে অবশ্যই অস্বস্তির।”
দলের রাজ্য সভাপতি সুখদেব ভগত বলেন, “এ মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হতে পারে। কেন এ কথা বলেছেন তা বিধায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।”
যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক সেই কৃষিমন্ত্রী যোগেন্দ্র অবশ্য সোমবার একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি যে কথা বলিনি, সে সব আমার মুখে বসানো হয়েছে। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। দফতর নিয়ে আমি খুশি। সনিয়া গাঁধীর আর্শীবাদ নিয়ে এ ভাবেই মানুষের সেবা করতে চাই।”
রাজ্য কংগ্রেস সূত্রের খবর, শনিবার জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ধানবাদের কংগ্রেস বিধায়ক মান্নান মল্লিক এবং বরকাগাঁও-এর যোগেন্দ্র সাহু। মান্নান পান পশুপালন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দায়িত্ব। যোগেন্দ্রকে দেওয়া হয় কৃষি দফতর। দফতর বণ্টনের পর থেকেই দুই মন্ত্রী ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন। মান্নান জানিয়েছেন, তিনি সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না। দলের সংগঠনের কাজ করতেই বেশি উৎসাহী তিনি। |
|
|
|
|
|