মহকুমার জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের যাবতীয় কাজ দেখাশোনার জন্য রামপুরহাট থানার মাঝখণ্ড গ্রাম লাগোয়া এলাকায় গড়ে উঠছে ‘পরিদর্শন বাংলো’। সেই বাংলোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা দেখতে শনিবার জেলায় আসেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কাজের গতি দেখে সুব্রতবাবু অবশ্য খুশি হননি। তিনি বিভাগীয় বাস্তুকারদের কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন। সুব্রতবাবু বলেন, “এই জেলাতে প্রচুর ফ্লোরাইড আছে। আমরা এক দেড় বছরের মধ্যে ফ্লোরাইড মুক্ত জল পৌঁছে দিতে চাই। সে জন্য ‘পরিদর্শন বাংলো’ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু নীচু জমি এবং কিছু ‘টেকনিক্যাল’ অসুবিধার কাজটি দ্রুত হচ্ছে না। সম্ভাব্য সব রকম ব্যবস্থা করে যাতে কাজটি দ্রুত শেষ হয় তার জন্য আমি বলেছি।”
রাজ্যে ভূগর্ভস্থ জলে ‘প্রথম’ মাত্রাতিরিক্ত ফ্লোরাইড পাওয়া যায় ১৯৯৬ সালে বীরভূম জেলার নলহাটি ১ ব্লকের নসিপুর-সহ সংলগ্ন ভবানন্দপুর এলাকায়। পরে জেলার রামপুরহাট১, সাঁইথিয়া, ময়ূরেশ্বর১, সিউড়ি২, রাজনগর, খয়রাশোল ব্লকগুলিতে ফ্লোরাইড ধরা পড়ে। রামপুরহাট মহকুমায় ফ্লোরাইডের মাত্রা নিরীক্ষণ করার জন্য এত দিন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে জল পরীক্ষাগারে পাঠানো হত। সম্প্রতি মাঝখণ্ড গ্রাম লাগোয়া এলাকায় রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ‘পরিদর্শন বাংলো’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সুব্রতবাবু জানান, প্রকল্পটি প্রায় চার মাস আগে শুরু হয়েছে। এর জন্য আপাতত ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ধার্য হয়েছে। মূলত এই মহকুমার জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের যাবতীয় কাজ এখান থেকে দেখাশোনা করা হবে। এ ছাড়াও এই পরিদর্শন বাংলোতে জল পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। রামপুরহাট ১ ব্লকের জুনিদপুর, নওয়াপাড়া, কবিচন্দ্রপুর ও চকআটলা এলাকায়ও ফ্লোরাইড মুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দিতে রিজার্ভার তৈরির জন্য জমি পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি। |