নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
এক জুতো ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার গভীর রাতে শামুকতলা থানার পটটোলা হঠাৎ কলোনি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম বাচ্চুনম দাস (৫৩)। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়। শামুকতলা বাজারে হাতিপোতা চৌপথিতে জুতোর দোকান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে দোকান বন্ধ করে সবজি বাজার করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় তাঁকে ফেলে ঘাড়ে কোপ মারা হয়েছে। এতে অত্যাধিক রক্তপাতের ফলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার ভোরে প্রতিবশী এক যুবক রাস্তার উপর বাচ্চুবাবুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মৃতদেহের পাশে সবজির ব্যাগটি পড়েছিল। শামুকতলা থানার ওসি দীপঙ্কর সাহা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও পুলিশ নিশ্চিত নয়। শরিকি বিবাদ বা পুরানো শত্রুতার জেরে ওই খুন হয়েছে কী না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল বাচ্চুবাবুর। সেই কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
নিহতের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চার বছর আগে ওই গ্রামে এসে বাড়ি করেন বাচ্চুবাবু। ১৩ বছরের একটি ছেলে ও ১৫ বছরের এক মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। পাঁচ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বাচ্চুবাবুর ছেলে রাহুল ও মেয়ে ববিতা বলেন, “বাবার শত্রু ছিল বলে আমার জানি না। খুবই সাধারণভাবেই থাকতেন। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” |