প্রচারে অনুন্নয়ন কালজানির দ্বীপচরে
রাস্তায় পিচ পড়েনি। নিকাশি নালা নেই। নেই পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা। যদিও আলিপুরদুয়ারের দ্বীপচর ‘পুর’ এলাকার অর্ন্তভুক্ত।
চারদিকে ধান আর পাটের খেত। আল পথ পার হয়ে এলাকায় ঢুকতে হয়। রাস্তা বলতে মাটি-সুরকির কাঁচা-পথ। ফি বছর বর্ষায় কালজানি নদী ফুলে ফেঁপে উঠে আলিপুরদুয়ার শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় দ্বীপচরকে। সেই তিন মাস প্রায় ৭ কিলোমিটার ঘুরপথে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। প্রতি ভোটের সময় যাতায়াতের সমস্যা মেটানো, পরিকাঠামো উন্নয়নে আশ্বাস মিললেও বাস্তব পরিস্থিতি বদলায়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এ বছরও শহরের অন্য এলাকার মতোই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীপচরেও ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাসও মিলছে ডান-বাম সব দলের থেকে।
শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২১০০ ভোটারের মধ্যে ৬০০ জন বাস করেন কালজানির পাড়ের দ্বীপচর এলাকায়। দৈনন্দিন কাজের জন্য শহরে আসতে বাসিন্দাদের সারা বছরের ভরসা একমাত্র নৌকা। বর্ষায় ভরা নদী নৌকা চেপে পার হয়ে গাছ আর ঝোপ ঘেরা দ্বীপচরের বাসিন্দা ফরেন দাস, কানু দাসদের সঙ্গে দেখা।
নৌকোয় ভরসা।— নিজস্ব চিত্র।
তাঁদের আক্ষেপ পুর এলাকায় সংযুক্তির পরেও নদীর উপরে সেতু না থাকায় পুর এলাকার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সে কারণেই উন্নয়নও থমকে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। কানুবাবুর কথায়, “কালজানি নদীর জল বাড়লে বর্ষায় প্রায় মাস দুয়েক নৌকা চলাচল বন্ধ থাকে। সেই সময় ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে যেতে হয়, অথবা ঘুরপথে কোচবিহার জেলা হয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে যেতে হয়।” নবম শ্রেণির ছাত্রী সোমা বিশ্বাস বলেন, “বর্ষার সময় রেল সেতু পার হয়ে স্কুলে যাই। রেল সেতু দিয়ে সাইকেল নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। হাঁটা ছাড়া উপায় থাকে না।” শুধু যোগাযোগ নয়, এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কোনও রকম প্রাথমিক উদ্যোগও চোখে পড়বে না।
আলিপুরদুয়ারে পুরভোটের মুখে দ্বীপচরকে ঘিরে প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই বার দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপও শুরু হয়েছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, “শহরের অংশ হয়েও দ্বীপচরের বাসিন্দারা পুরসভার কোনও পরিষেবাই পান না। আসলে কংগ্রেসি পুরবোর্ড ওই এলাকাকে নিয়ে চিন্তাভাবনাই করেনি। তৃণমূল দায়িত্ব পেলে সেতু তৈরি সহ গোটা এলাকায় পুর পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হবে।”
পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্বীপচর এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকাই প্রধান সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন দফতরে আবেদন পাঠিয়ে সেতু তৈরির কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। দ্বীপচরে রাস্তা তৈরির জন্য গার্ডওয়াল, গভীর নলকূপ তৈরির কাজ হয়েছে। পুর পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।” এলাকার বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর দীপালি মণ্ডল এ বারেও প্রার্থী। তিনি বলেন, “একেবারে উন্নয়ন হয়নি এই অভিযোগ ঠিক নয়। মিড-ডে মিলের রান্না ঘর থেকে শুরু করে অনেক কিছু হয়েছে। বিরোধীরা সে সব কিছুই কী দেখতে পারছেন না!” তৃণমূল প্রার্থী বাবুলাল সাহা বলেন, “অনুন্নয়ন প্রচারে তুলে ধরে ভোট চাওয়া হচ্ছে।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.