নারায়ণ দে • আলিপুরদুয়ার |
তাঁদের আক্ষেপ পুর এলাকায় সংযুক্তির পরেও নদীর উপরে সেতু না থাকায় পুর এলাকার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সে কারণেই উন্নয়নও থমকে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। কানুবাবুর কথায়, “কালজানি নদীর জল বাড়লে বর্ষায় প্রায় মাস দুয়েক নৌকা চলাচল বন্ধ থাকে। সেই সময় ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে যেতে হয়, অথবা ঘুরপথে কোচবিহার জেলা হয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে যেতে হয়।” নবম শ্রেণির ছাত্রী সোমা বিশ্বাস বলেন, “বর্ষার সময় রেল সেতু পার হয়ে স্কুলে যাই। রেল সেতু দিয়ে সাইকেল নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। হাঁটা ছাড়া উপায় থাকে না।” শুধু যোগাযোগ নয়, এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কোনও রকম প্রাথমিক উদ্যোগও চোখে পড়বে না।
আলিপুরদুয়ারে পুরভোটের মুখে দ্বীপচরকে ঘিরে প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই বার দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপও শুরু হয়েছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, “শহরের অংশ হয়েও দ্বীপচরের বাসিন্দারা পুরসভার কোনও পরিষেবাই পান না। আসলে কংগ্রেসি পুরবোর্ড ওই এলাকাকে নিয়ে চিন্তাভাবনাই করেনি। তৃণমূল দায়িত্ব পেলে সেতু তৈরি সহ গোটা এলাকায় পুর পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হবে।”
পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্বীপচর এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকাই প্রধান সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন দফতরে আবেদন পাঠিয়ে সেতু তৈরির কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। দ্বীপচরে রাস্তা তৈরির জন্য গার্ডওয়াল, গভীর নলকূপ তৈরির কাজ হয়েছে। পুর পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।” এলাকার বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর দীপালি মণ্ডল এ বারেও প্রার্থী। তিনি বলেন, “একেবারে উন্নয়ন হয়নি এই অভিযোগ ঠিক নয়। মিড-ডে মিলের রান্না ঘর থেকে শুরু করে অনেক কিছু হয়েছে। বিরোধীরা সে সব কিছুই কী দেখতে পারছেন না!” তৃণমূল প্রার্থী বাবুলাল সাহা বলেন, “অনুন্নয়ন প্রচারে তুলে ধরে ভোট চাওয়া হচ্ছে।”
|